নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করছে ভারত। এবার কিছুটা হলেও সেই অভিযোগ জোরদার হল। কারণ, রাষ্ট্রসংঘেই এই অভিযোগ জমা পড়ল। একই সঙ্গে দাবি উঠল সমস্ত জঙ্গিঘাঁটি এখনই গুঁড়িয়ে দেওয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪০তম অধিবেশন। সেই বৈঠকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন। ইমরানের খানের দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দাবি তোলেন সমস্ত জঙ্গিঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য।


ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানা হয়। সেই হামলায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় জইশ-ই-মহম্মদ।


আরও পড়ুন: মোদীর ‘ঘরেই’ তৈরি হবে কংগ্রেসের রণকৌশল, আমেদাবাদে হাজির রাহুল-সনিয়া-প্রিয়ঙ্কা


রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত ওই অধিবেশনে এই প্রসঙ্গটিও উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। সর্বসম্মতভাবে সকলেই পুলওয়ামা হামলার নিন্দা করেন।


ওই অধিবেশনেই উপস্থিত ছিলেন এম হাসান। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলন করছেন।



তাঁর দাবি, এখনই সমস্ত জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সঠিক সময় চলে এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মতো পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিও গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আর এর দায়িত্ব নিতে হবে পাকিস্তানকেই।


তাঁর কথায়, সন্ত্রাসবাদীরা যেমন স্থানীয় মানুষের জীবনযাপনে সমস্যা তৈরি করছে, তেমনই গোটা বিশ্বের শান্তি বিঘ্নিত করছে।


আরও পড়ুন: তিন বছর পর নয়া তথ্য, মোদীর নোটাবাতিলে সম্মতি ছিল না আরবিআই-এর!


অন্যদিকে ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারম্যান এস আলি কাশ্মীরি রাষ্ট্রসংঘের ওই অধিবেশনে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কাশ্মীরের মানুষকে আত্মঘাতী হামলার জন্য মগজধোলাই করে। তাদের উত্যক্ত করে। এটা উদ্বেগের বলে তিনি মনে করেন।