ওয়েব ডেস্ক : শুধুমাত্র একটি সিদ্ধান্তই নাকি বিজয় মালিয়াকে ডুবিয়েছে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। নিজের এই সিদ্ধান্তের জন্য অত্যন্ত অনুতপ্ত মালিয়া। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না, সেদিনের তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু, কী সেই সিদ্ধান্ত?


২০০৫-এ ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়ার জন্মদিনের দিন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া চালু করেন তাঁর লো-কস্ট বিমান পরিসেবা কিংফিশার এয়ারলাইন্স। যাত্রীদের উচ্চমাণের বিলাসীতা দেওয়ার পাশাপাশি কম খরচে কীভাবে বিমান যাত্রা করানো যায় তার জন্যও সকলের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সংস্থাটি। অল্প দিনের মধ্যে সাফল্য চলে আসায় নিজের ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগ নেন মালিয়া। শুধু দেশেই নয় বিদেশেও বিমান পরিসেবা দিতে উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু সমস্যা ছিল সেই উদ্যোগ নিতে হলে তাদের বিমান পরিষেবায় ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার বলে জানিয়ে দেয় বিমান চলাচল মন্ত্রক। ফলে, সেই সমস্যা কাটাতে তিনি কিনে ফেলেন ঋণে ডুবে থাকা তত্কালীন সংস্থা এয়ার ডেকানকে। আর সেখান থেকেই তাঁর পতনের সূচনা বলে মনে করেন খোদ মালিয়া। ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডে তিনি কেনেন ওই সংস্থাটিকে।


প্রসঙ্গত, সেই বছরই বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়। আর তাতেই বিপদে পড়েন তিনি। শুরু হয় ডুবন্ত কোম্পানির সঙ্গে নিজের ডোবার পালাও। তারপরও নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন তিনি। কেনেন ফর্মুলা ওয়ানের দল 'ফোর্স ইন্ডিয়া'। এছাড়াও, ২০০৭ একটি সংস্থাকে ৫৯৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ও ২০০৮-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে কিনে নেন তিনি।


এরপরই ২০১০ থেকে শুরু হয় তার পতনের মূল স্রোত যা আজও থামেনি। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরয়ানা। তাঁকে ধরার জন্য মাঠে নেমেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ।


তবে, এত কিছুর পরও নিজেকে হিপোক্রেট বলতে নাজার এই লিকার ব্যারন।