ওয়েব ডেস্ক : কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, তাতে কতটা লাভ হবে? সরকার আশাবাদী হলেও বিরোধীদের দাবি, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না। ব্যাঙ্ক-এটিএমের দরজায় লাইন দিয়েছে গোটা দেশ। কেউ বিরক্ত। কেউ আবার রয়েছেন আশায়। জব্দ হবে কালো টাকার মালিকরা। সরকারও আশাবাদী। কিন্তু, বিরোধীরা সংশয়ে। বুধবার, নোট বাতিল নিয়ে দিনভর আলোচনা হল রাজ্যসভায়। কংগ্রেস-বাম-সহ বিরোধী দলের নেতারা সকলেই অভিযোগ করলেন, প্রধানমন্ত্রী যে পথে হাঁটছেন তাতে কালো টাকার গোড়ায় আঘাত করা যাবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের যুক্তি, নোট বাতিলে সমস্যায় পড়বে কালো টাকার মালিকরা।বিরোধীদের দাবি, ঘরে কালো টাকা থাকে কম। দেশে-দেশের বাইরে বাজারে হাতবদল হতে থাকা কালো টাকা এ ভাবে উদ্ধার করা যাবে না। সরকার বলছে, পাঁচশো-হাজার বাতিল হওয়ায় জাল নোট বাজার থেকে উধাও হয়ে যাবে। বিরোধীরা বলছে, কালো অর্থনীতির তুলনায় জাল টাকার পরিমাণ অনেক কম। তাই, এই পথে অর্থনীতির হাল ফিরবে না।


আরও পড়ুন- টাকা তোলা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা RBI-এর


সরকারের যুক্তি বড় নোট বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়বে সন্ত্রাসবাদীরা। বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, হাওয়ালা নয়। সন্ত্রাসবাদীরা টাকা পেতে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের ওপরই বেশি ভরসা করে। পাঁচশো-হাজার বাতিলে দুর্নীতি কমবে বলে সরকার দাবি করলেও বিরোধীদের অভিযোগ বাজারে দু-হাজার টাকার নোট আসায় দুর্নীতির রাস্তা আরও চওড়া হয়েছে।  


এদিন রাজ্যসভার বিতর্কে কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়ে আগাগোড়া সরব ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। এ বিষয়ে বিরোধীরা একযোগে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি করেছে। নোট বাতিল ইস্যুতে বৃহস্পতিবারও রাজ্যসভায় চলবে আলোচনা।