নিজস্ব প্রতিবেদন- দুধের দাম এবার বাড়াতে হবে। এই দাবিতেই মহারাষ্ট্রের অনেক এলাকায় দুধ ব্যবসায়ীরা চলতি মাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভের সময় অনেকেই রাস্তায় দুধ ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁদের এমন বিক্ষোভ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই বলেন, যে দেশের বহু শিশু দুধ না পয়ে অপুষ্টির শিকার হয়, সেখানে এমন প্রতিবাদ দৃষ্টিকটূ। তবে এদেশে এমন গ্রামও আছে যেখানে দুধ কখনও বিক্রি হয় না। বরং যাদের প্রয়েজন তাদের বিনা পয়সায় দেওয়া হয়। হ্যাঁ এই ২০২০ সালেও এদেশে এমন গ্রাম রয়েছে। আর সেই গ্রামের লোকজন নিজেদের শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করেন। তাই দুধ বিক্রি তাঁদের কাছে পাপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি জেলার ইয়েলেগাঁওতে আজ পর্যন্ত দুধ বিক্রি হয়নি। অথচ সেখানে প্রতি ঘরে গরু রয়েছে। রোজ কয়েকশো লিটার দুধ পান সেই গ্রামের মানুষ। কিন্তু পুরোটাই চলে যায় দরিদ্রদের সেবায়। রাজাভাউ মন্ডাডে নামের এক গ্রামবাসী বললেন, ''ইয়েলেগাঁও মানেই তো দুধের গ্রাম। আমরা নিজেদের শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলি। আর তাই আমরা কখনও দুধ বিক্রি করি না। আমাদের গ্রামের ৯০ শতাংশ ঘরে গরু রয়েছে। মোষ, ছাগলও রয়েছে অনেক। এখানে বহু যুগ ধরে এই পরম্পরা চলছে। দুধ দেওয়া হয় দরিদ্রদের। দুধের উত্পাদন যদি বেশি হয়ে যায় তা হলে আমরা দুগ্ধজাত দ্রব্য বানিয়ে ফেলি। সেগুলিও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।''


আরও পড়ুন-  সাত ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে খোলা ম্যানহল পাহারা দিলেন, সেই কান্তার সঙ্গেও ভালই হল


প্রতি বছর এই গ্রামে জন্মাষ্টমী পালন হয় মহা ধুমধাম করে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। ভিড়ভাট্টা প্রশ্নই নেই। ইয়েলেগাঁওয়ের তাই মন খারাপ। গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে প্রতি বছর জাঁকজকভাবে শ্রীকৃষ্ণের পুজো হয়। কিন্তু এবার পুজোর আয়োজন সাদামাটা। ওই গ্রামে বেশ কয়েকটি মুসলিম পরিবারও রয়েছে। তাঁরাও পরম্পরা মেনে কখনও দুধ বিক্রি করেনি। এমনকী তাঁরা জন্মাষ্টমীর পুজোয় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন বরাবর।