ওয়েব ডেস্ক: আপনার শেষ কবে ঋতুস্রাব (পিরিওডস) হয়েছে? আপনি কী গর্ভবতী? কবে আপনার সর্বশেষ সন্তান জন্মেছিল?- রাজস্থানের বনস্থলী বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক এই প্রশ্নগুলোই করেছে আঠারো বছরের যুবতী দিব্যাণী শর্মাকে। কী অবাক হচ্ছেন? দিব্যাণীও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে, অবাক হওয়া এখনও বাকি । কারণ, এই সব একান্ত ব্যক্তিগত  শরীর সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো রয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন ফর্মে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠীত জয়পুরের শিকার জেলার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মেয়েরাই পড়াশোনা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা রাজস্থানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী রতন শাস্ত্রীর প্রতিষ্ঠীত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইনা শাস্ত্রী বলেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সকরাই এই প্রশ্নাবলি তৈরি করেন। ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।" ছাত্রী ও অভিভাবক মহল থেকে জানা গেছে, ১২-১৩ বছর থেকে ভর্তি নেওয়ার সময়মেয়েদের শারীরিক বিষয়ের খুঁটিনাটি বিশদে জেনে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সারি থেকে স্নাতকোত্তর ও গবেষণা পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়।


আরও পড়ুন- বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা


বনস্থলী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী আবার এইসব অদ্ভুত প্রশ্নের পিছনে এক অন্য কারণের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, হোস্টেলের শৌচালয়ে একবার এক সদ্যজাতর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। আর তারপর থেকেই এইসব খুঁটিনাটি জেনে নেওয়ার রেওয়াজ।


তবে, কারণ যাই হয়ে থাকুক, দিব্যাণী শর্মা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়াশোনা করতে চান না। তিনি বলেছেন যে এই সব একান্ত ব্যক্তিগত কথা যে প্রতিষ্ঠান জানতে চায়, সেখানে তিনি পড়বেন না। কিন্তু, ওই বিশ্ববিদ্যলয়ের অনেক ছাত্রীই আবার মনে করেন যে, এই নিয়ম আসলে ছাত্রীদের মঙ্গলের জন্যাই। তাঁদের যুক্তি, এইসব তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে থাকলে ছাত্রীরা অসুস্থ হলে বিশ্ববিদ্যলয় সহজেই তাঁদের চিকিত্সা করতে পারবে।


আরও পড়ুন- ভারতে এলে খোলামেলা পোশাক পরা বন্ধ করুন বিদেশিরা, বললেন সংস্কৃতি মন্ত্রী