নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল মঙ্গলবার লোকসভায় পাস হয়েছে। তা নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী অসমের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বুধবার মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক জনসভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ''দেশেকে যাঁরা ভালোবাসেন, সেই সব ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। ভারত মাতার জয়ধ্বনি যাঁরা দেন, তাঁদের দেওয়া হবে ভারতের নাগরিকত্ব।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আজই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদ সৌমিত্র খান


এই বিল লোকসভায় পাস হলেও পাস হয়নি রাজ্যসভায়। বুধবার বিলটি পেশ করার কথা রাজ্যসভায়। সেখানে সরকার সংখ্যালঘু। আর বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে। তাই শেষপর্যন্ত বিলের ভবিষ্যত্ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।


অন্যদিকে জেনারেল ক্যাটাগরির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করে দেশের সকলের কেন্দ্রীয় সরকার সঙ্গে ন্যায়বিচার করল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আমাদের সংস্কৃতি। এটাই আমাদের পরম্পরা। সকলকে ন্যায়বিচার দিয়ে লোকসভা সেই ভাবনাকে সম্মান জানিয়েছে।''


মঙ্গলবার লোকসভায় এই বিল পাস হয়ে গিয়েছে। কারণ, সংসদের নিম্নমুখে এনডিএ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে বিল পাসে তাদের তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি।


কিন্তু রাজ্যসভায় মোদী সরকার সংখ্যালঘু। ফলে সেখানে বিল আদৌ পাস হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তার উপর অধিবেশন শুরুর সময় থেকেই রাজ্যসভা উত্তাল। বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও বিরোধীদের বিক্ষোভ অব্যাহত।


আরও পড়ুন: জেনারেল কোটা বিলকে যুগান্তকারী বললেন মোদী


বিষয়টি জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। তাই তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে লোকসভার মতো সংসদের উচ্চকক্ষেও পাস হয়ে যাবে এই জেনারেল কোটা বিল।


প্রসঙ্গত, সোমবার জেনারেল ক্যাটাগরির সংরক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। ওইদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকেই এই সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সরকারের তরফে জানানো হয়।


সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেনারেল ক্যাটাগরিতে এবার ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। আর্থিকভাবে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁরাই এই সংরক্ষণের আওতায় থাকবেন। তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অনান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে যে সংরক্ষণ দেওয়া হয়, তাতে এই নতুন সিদ্ধান্তে কোনও প্রভাব পড়বে না।


আরও পড়ুন: জেনারেল কোটা বিল পাসে রাজ্যসভায় আজ অগ্নিপরীক্ষা মোদী সরকারের


এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সংবিধানের ১৫ ও ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। সেই সংশোধনীই বিল আকারে মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হয়। আর তা পাসও হয়ে যায়। বুধবার ওই বিল পেশ করা হয়েছে রাজ্যসভায়।