Bangladeshi Citizens: কাজের টোপ ফেলে দিল্লিতে এনে কেটে নেওয়া হল ৩ বাংলাদেশির কিডনি!
কাজের লোভ দেখিয়ে মেডিক্যাল ভিসায় বাংলাদেশিদের ভারতে এনে তাদের কিডনি নিয়ে নেয়। বিনিময়ে অবশ্য সামান্য কিছু অর্থও দিত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে, এই কিডনি চক্রের শিকার হওয়া তিন বাংলাদেশির কথা বলা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এর আগেও ভারত-বাংলাদেশের চোরা কারবারিদের কিডনি পাচার চক্রের ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এবার অভিযোগ চাকরির টোপ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে কিডনি নিয়ে নেওয়া হল। চাকরির লোভে এদেশে এসেছিলেন ৩ বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে পৌঁছে ৩ জনই কিডনি পাচারকারী সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েন এবং একটি করে কিডনি খুইয়ে দেশে ফেরে।
আরও পড়ুন, Bangladeshi Hilsa: পুজোয় কি বাঙালির পাতে পড়বে পদ্মার ইলিশ? সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার
যদিও সংবাদমাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই তিন ব্যক্তিরই পরিচয়ই গোপন রেখেছে তাদের প্রতিবেদনে। তাদের মধ্যে একজনের কাপড়ের ব্যবসা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দোকানে আগুন লেগে তার পুরো ব্যবসা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে এক এনজিও থেকে ৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আবারও ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, ৩ লাখ টাকার বেশি ঋণ শোধ করতে পারেননি। একপর্যায়ে আর্থিক চাপের মুখে এক বন্ধুর পরামর্শ নিতে যান তিনি। আর সেই বন্ধুই তাকে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরুর পরামর্শ দেন। সেই বন্ধুই তাকে পাসপোর্ট, মেডিকেল ভিসা এমনকি ভারতে চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
তবে, গত ১ জুন ভারতে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, সেখানে তার জন্য চাকরি-বাকরি কিছুই নেই। এর বদলে তাকে কিডনি বিক্রি করতে হবে। প্রথমে তিনি রাজি হননি। কিন্তু তার পাসপোর্ট এবং ভিসা কেড়ে নিয়ে ওই চক্রের তারা বলেছিল, কিডনি না বিক্রি করলে তিনি আর কোনোদিন ভারত থেকে ফিরতে পারবেন না। ফলে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন কিডনি বিক্রি করতে।
ভুক্তভোগী দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর। তাকেও ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তাসকিন নামে এক ব্যক্তি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে পৌঁছানোর পর রাসেল ও রোকন নামে দুজন লোক তাকে যশোলার হোটেল রামপালে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে বলে, সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি পাবেন তিনি। আর সেটির জন্য তার বেশ কিছু মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার। রক্তপরীক্ষা ও ইসিজি-সহ প্রায় ১৫-২০টি পরীক্ষা করা হয় তার।
এপ্রিলের ২ তারিখে তাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং এক নার্স তাকে একটি ইনজেকশন দিতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর ৩ এপ্রিল তার জ্ঞান ফিরলে তাকে আবারও ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং তিনি আবারও অজ্ঞান হয়ে যান। এর দুদিন পর এপ্রিলের ৫ তারিখ তার জ্ঞান ফেরে। কিন্তু তিনি দেখেন তার পেটে একটি সেলাইয়ের দাগ রয়েছে। পরে তাকে জানানো হয় তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ভুক্তভোগী তৃতীয় বাংলাদেশিও একই ফাঁদে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অরণ্য নামে এক ব্যক্তি ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকি প্রশিক্ষণের সময় বৃত্তিও দেওয়া হবে বলেও তাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল অরণ্য। তিন বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Indian Death in UK: বয়স ১২-১৪, আশি বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে মেরে ফেলল একদল স্কুলপড়ুয়া
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)