নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি, বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ। মঙ্গলবার তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিন বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে মোট বিচারপতি সংখ্যা দাঁড়াল ২৫। এখনও ফাঁকা রয়েছে ছয় বিচারপতির আসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস!


বিচারপতি কেএম জোসেফের শপথ গ্রহণের পরও বিতর্ক জারি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অন্দরে। সিনিয়রিটির ক্রমে বিচারপতি জোসেফের নাম তৃতীয় স্থানে থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিদের একাংশ। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের কাছেও এই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।


উল্লেখ্য, বিচারপতি জোসেফের নাম প্রস্তাব করার পর থেকেই টানাপোড়েন চলছিল কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ প্রথমে আইনমন্ত্রক খারিজ করে দেয়। বিচারপতি জোসেফের নিয়োগে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে দাবি করে কেন্দ্র। বলা হয়, অন্যান্য রাজ্য থেকে এক জন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রয়েছেন। জোসেফকে নিয়োগ করলে কেরল থেকে ২ জন বিচারপতি সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হবেন। যা বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ বলে দাবি কেন্দ্রের।


কেন্দ্রের ফিরিয়ে দেওয়া প্রস্তাবকে বিবেচনা করে ফের বিচারপতি জোসেফের নামই পাঠায় কলেজিয়াম। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে কার্যত অসহায় হয়েই বিচারপতি জোসেফের নাম গ্রহণ করে আইনমন্ত্রক। কারণ, দ্বিতীয়বার যদি কলেজিয়াম একই নাম প্রস্তাব করে, তা হলে সেই প্রস্তাব খারিজ করার ক্ষমতা নেই আইনমন্ত্রকের।


আরও পড়ুন- কেন্দ্রের নামের তালিকায় বিচারপতি জোসেফ তৃতীয়! অসম্মানজনক বললেন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি


কিন্তু কেন্দ্রের বিচারপতি জোসেফের বিরোধিতায় রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন ২০১৬ সালে সে রাজ্যের রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জোসেফ। এবং তাঁর নির্দেশে আস্থা ভোট হয় উত্তরাখণ্ডে। কাকতালীয় ভাবে বিজেপিকে হারিয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। যার কারণে বিচারপতি জোসেফের উপর বিজেপির ক্ষোভ রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।


আরও পড়ুন- অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন কেএম জোসেফ, সবুজ সংকেত ‘অসহায়’ কেন্দ্রের


তবে, তালিকায় বিচারপতি জোসেফর নাম তৃতীয় স্থানে রাখার যুক্তি খণ্ডন করেছে কেন্দ্র।  বিচারপতি জোসেফের আগে হাইকোর্টে নিযুক্ত হয়েছেন বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং বিচারপতি বিনীত সরণ। এই  দুই বিচারপতি ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারিতে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালে অক্টোবরে কেরল হাইকোর্টের নিযুক্ত হন বিচারপিত জোসেফ। কেন্দ্রের দাবি, হাইকোর্টে বিচারপতি পদে নিয়োগের তারিখ দিয়ে বিচার করা হয় অভিজ্ঞতা। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেওয়া হয় না।


উল্লেখ্য, ২০১৪-র ৩১ জুলাই উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন জোসেফ। ২০১৭ –র ৫ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং ২০১৬ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি ওড়িশা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং বিনীতি সরণ।