Maharashtra: উফ! ভয়ংকর গতিতে ছুটে আসা গাড়ি ধাক্কা দিল বাঘটিকে! কোমর-ভাঙা পশুটি কি বাঁচবে?
Navegaon Nagzira sanctuary: মর্মান্তিক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। একটি বাঘ রাস্তা পার হচ্ছিল। এমন সময় একটি গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা মারে। ভয়ংকর ভাবে জখম হয় এটি। ঘটনাটি ঘটেছে একটি অরণ্যাঞ্চলের ভিতরেই। সড়কপথটি ওই স্যাংচুয়ারির ভিতর দিয়ে গিয়েছে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মর্মান্তিক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। একটি বাঘ রাস্তা পার হচ্ছিল। এমন সময় একটি গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা মারে। ভয়ংকর ভাবে জখম হয় এটি। ঘটনাটি ঘটেছে একটি অরণ্যাঞ্চলের ভিতরেই। সড়কপথটি ওই স্যাংচুয়ারির ভিতর দিয়ে গিয়েছে! প্রাণীটিকে সঙ্গে সঙ্গে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নভগাঁও নাগজিরা স্যাংচুয়ারিতে। আহত বাঘটিকে চিকিৎসার জন্য নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়িটি একটি হুন্ডাই ক্রেটা। সেটি দেশের জাতীয় পশুকে যেভাবে আঘাত করেছে, তাতে সকলে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। এরকম ঘটতে থাকলে কী ভাবে বাঁচবে বন্যপ্রাণ? কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে এখানে বন্য পরিবেশ? কীভাবে এখানে বন্যপ্রাণীরা নিশ্চিন্তে নিজেদের বসববাসের এলাকায় ঘুরে বেড়াবে?
আসলে ভারতে বহু বন্যপ্রাণীর করিডরের পাশে সড়কপথ বা রেলপথ তৈরি হয়েছে। নানা রকম নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গাড়ি যাঁরা চালান এসব পথে, তাঁরা মোটেই ততটা সচেতন থাকেন না। কী রেলচালক, কী গাড়িচালক-- সকলেই বন্যপ্রাণ সম্বন্ধে উদাসীন থাকেন।
পরিবেশরক্ষাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ওয়াইল্ড লাইফ এরিয়ায় কেন গাড়ি এত দ্রুত চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এসব জায়গায় আরও স্কিলড ড্রাইভার ব্যবহার করার কথা বলছেন তাঁরা। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি এনএইচ ৭৫৩। এটি এমনিতেই খুব সংকীর্ণ। এর চারপাশে গভীর জঙ্গল। এখানে বলাই আছে গাড়ি চলবে গড়ে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বহু গাড়িই এটা মানে না। যার ফল বন্যপ্রাণীর এরকম পরিণতি। কী হবে যদি বাঘটি মারা যায়? দেশে এমনিতেই বাঘের সংখ্য়া লাফিয়ে কমছে।