TMC Lost Status of Nationalist Party: আশঙ্কাই সত্যি! জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল, পদোন্নতি AAP-এর
TMC Lost Status of Nationalist Party: গত মাসে কমিশনে এনিয়ে শুনানি হয়েছিল কমিশনে। তৃণমূলের তরফে সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর রায় ও একজন আইনজীবী
জ্যোতির্ময় কর্মকার: জোর ধাক্কা ঘাসফুল শিবিরে। জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই, বিআরএস, এনসিপি ও এলজেপির জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্য়াহার করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি জাতীয় দলের মর্যাদা পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন-আপনার কানের বয়স কত, বলে দেবে এই মজার টেস্ট
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপুরা ও মণিপুরের নির্বাচনের পরই বারবার তিনি বলতে থাকেন কেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা থাকা উচিত নয়। তার পরই একাধিক রাজ্য থেকে একাধিক দলের জাতীয় দলের তকমা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তার পরই আজ সোমবার ১৬ পাতার একটি নির্দেশিকা বের করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে যে যে শর্ত পূরণ করলে জাতীয় দলের তকমা পাওয়া যায় সেইসব ক্যাটিগোরি ধরে ধরে কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস ফেল করছে তা দেখানো হয়েছে। এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত মাসে এনিয়ে একটি শুনানি হয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি দলের যাদের জাতীয় দলের তকমা থাকা উচিত নয় তাদের নিয়ে একটি শুনানি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর রায় ও একজন আইনজীবী। সেখানে তাঁরা তাদের বক্তব্য জানান। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই শুনানিতে তৃণমূল বলে দশ বছর অন্তর বিষয়টি পর্যোলোচনা করার কথা নির্বাচন কমিশনের। সেই নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্য়ন্ত তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা থাকা উচিত। কিন্তু কমিশন সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের বিষয়।
দলের এমন অবনমনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আইনগত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে এর জবাব দেব। এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এনিয়ে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। আগেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অনেক মতামত বেরিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের রায়কে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কমিশনের সঙ্গে আমরা একমত নই। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। বস্তুত, আইনি পথে কীভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা যায়, তৃণমূলের তরফে সে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, কমিশনের ওই নির্দেশিকার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক টুইট করে লিখেছেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা সরিয়ে দেওয়ায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পরই আমি দাবি করেছিলাম জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, কোন নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা করল? সেই নির্বাচন কমিশন যারা ২৩৬টা আসন থাকা তামিলনাডুতে এক দফায় নির্বাচন করে আর ২৯৪ আসন থাকা বাংলায় ৮ দফায় নির্বাচন করে। এই নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি নেতারা ফোনে নির্দেশ দিচ্ছে বলে আণরা অডিও শুনেছিলাম। কোন দলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? যে দল দেশে এখন তৃতীয় বৃহত্তম দল। দশ বছর অন্তর এই তকমার পর্যোলোচন করা উচিত। এনিয়ে দল দলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে যা করার করব'।