কমলিকা সেনগুপ্ত: মঙ্গলবার লোকসভার সেমিফাইনালের ফলাফল বেরচ্ছে। বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় এক কদম এগিয়ে কংগ্রেস। হাওয়া যে উল্টো দিকে বইছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মোদী-শাহরাও। ঠিক এই পরিস্থিতে ফলাফলের আগের দিনে বিরোধী শক্তি জোরদার করতে আজ দিল্লি রওনা দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোটবন্দির পর থেকেই বিরোধী শক্তিকে এককাট্টা করতে তত্পর হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি জোট বাঁধতে কোনও ছুঁতমার্গ না রেখেই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান তিনি। এ বার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট-হাওয়া ভীষণভাবে প্রকট। তাই লোহা গরম থাকতেই মোক্ষম আঘাতটা আনতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লোকসভা নির্বাচনের আগে এ দিনের বৈঠক সে দিক থেকে তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও পড়ুন- অবশেষে বুলন্দশহর হিংসায় গ্রেফতার জওয়ান, অভিযুক্ত জিতুকে এসটিএফের হাতে তুলে দিল সেনা


সোমবারের বৈঠকে কারা থাকছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে সিপিএম-র তরফে। সিপিএম-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ফোনে জি় ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানিয়েছেন, এই বৈঠকে যোগ দেবে সিপিএম। উল্লেখ্য, জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদে তৃণমূল-সিপিএমকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। এমনকি কর্নাটকে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মায়াবতী, অখিলেশ, সনিয়ার সঙ্গে মমতা এবং সীতারাম ইয়েচুরি মঞ্চ শেয়ার করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী জোটের খসড়া তৈরি হয়ে যায় ওই মঞ্চ থেকেই।


আগামিকালের বৈঠকে থাকতে পারেন টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু। কয়েকদিন আগেই নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে এক সুরে বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। এছাড়া কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, আরজেডির তেজস্বী যাদব, গুলাম নবি আজ়াদ, আনন্দ শর্মা, ফারুক আবদুল্লা-সহ আঞ্চলিক দলের একাধিক নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে, মায়াবতী থাকছেন কিনা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বসপা সুপ্রিমো নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন।


আরও পড়ুন- জেলা-রেল স্টেশনের পর এবার বদল হচ্ছে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম


দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে টুইটে সনিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার আগে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে কংগ্রেস জমি খুঁজে পেলেও, জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে মমতার দল। সে ক্ষেত্রে এই বৈঠকও কংগ্রেসের কাছে তাত্পর্যপূর্ণ। মমতাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস যে এগোতে চাইছে না, এর আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বলেছিলেন, বিজেপিকে উত্খাত করাই একমাত্র লক্ষ্য। যদি অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হন, তাতে তাঁর আপত্তি নেই। সূত্রের খবর, রাহুল-সনিয়াও উপস্থিত থাকবেন সোমবারের বৈঠকে। মেরুকরণের রাজনীতিতে রাজধানী যখন সরগরম, সে সময় বিরোধী হাওয়া ত্বরান্বিত করতে মমতাই একমাত্র অনুঘটকের কাজ করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।  আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতেই থাকবেন মমতা।