ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়ের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। কমিশনের কাছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা। এবার শাসকদল তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে ভাল। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। প্রায় এক বছর পর তৃণমূল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে মুকুল রায়কে দেখা যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘনিষ্ঠ মহলে দাদা নিজেই বলেন, নির্বাচন কমিশনটা তিনি ভালোই বোঝেন। সামনে না হোক, বিরোধীরাও আড়ালে-আবডালে মানেন সে কথা। সেই মুকুল রায়ের ওপরই এবার নির্বাচন কমিশনকে সন্তুষ্ট করার ভার দিল তৃণমূল। ডিসেম্বরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে নানা দাবিদাওয়া নিয়ে নাজমা হেপতুল্লাকে স্মারকলিপি দেয় তারা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুকুল রায়।


এবার নির্বাচন কমিশনে দলের দরবারে তিনিই নেতা। নির্বাচন কমিশনে সরব বিরোধীরাও। ১০ডিসেম্বর কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি জানান বিরোধীরা। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে বিহার মডেলে যত বেশি সম্ভব তত দফায় ভোট করার দাবিতে সরব হন তাঁরা।


বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডনে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান একেবারে বইয়ের আকারে কমিশনের হাতে তুলে দিতে চলেছে তারা।


গত পাঁচ বছরে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতারা নির্বাচন কমিশনকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন,  অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনিতে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করবে তৃণমূল।


মুকুল রায়কে তার পদ এখনও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে,  তাঁর হাতে ফের নির্বাচন কমিশন সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে দলনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন,  ভোট যতো এগিয়ে আসবে ততই আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তৃণমূলের এক্স সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।