নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ মঙ্গলবার। পাড়ার জঙ্গল সাফ করার দিন। ছোটবেলার সহজপাঠের পাঠকে মনে করিয়ে দিলেন মুকুল রায়। একটা-দুটো নয়, চারটে পুরসভা তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। দিল্লিতে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটির সিংহভাগ কাউন্সিলর যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করলেন, কাঁচরাপাড়া পুরসভা ২৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জনই এলেন বিজেপিকে। হালিশহর পুরসভার ২৩জন কাউন্সিলরের মধ্যে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ১৭ জনই শিবির বদল করলেন। নৈহাটি পুরসভার ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ২৯জন কাউন্সিলরই গেরুয়া শিবিরে চলে এসেছেন। ফলে অঙ্কের নিয়মে তিনটি পুরসভাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। 



এদিনই আবার তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়েছেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়া পুরসভার ৮জন কাউন্সিলর ছাড়লেন তৃণমূল। তাঁদের হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দেন বারাকপুরের সাংসদ। ফলে ৩৪টি ওয়ার্ডের ভাটপাড়া পুরসভায় ১৯জন কাউন্সিলর নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিজেপি। অতএব, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর ও ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূলের।    


শুধু পুরসভাই নয়, ভাতারের জেলা পরিষদের সদস্য শান্তনু কোনার, খানাকুলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নইমুল হকও শিবির বদলে ফেলেছেন। তাঁর সঙ্গে আরও সদস্যরাও রয়েছে। খানাকুলের জেলা পরিষদের সঞ্জীব বরও যোগ দিলেন বিজেপিতে। মুকুল রায় দাবি করলেন, বাংলায় যে পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে শিবির করতে হবে। তৃণমূল ছেড়ে সবাই বিজেপিতে আসবেন। যোগদান প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। এর সঙ্গে আরও বহু নেতানেত্রী যোগদানের জন্য তৈরি রয়েছেন।


এদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় হুঙ্কার দেন, ''সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সেভাবেই সাত দফায় চলবে যোগদানের কর্মসূচি। আজ প্রথম দফা। ধীরে ধীরে মমতার স্বৈরতন্ত্র থেকে বেরিয়ে সবাই বিজেপিতে আসবেন। তবে বেছে বেছে লোক নেব''। 


আরও পড়ুন- মুন দি-রিয়ার সঙ্গে ছবি তুলে কেষ্ট কাকাকে নকল করতে গিয়ে লবডঙ্কা অনুপম