Mamata Banerjee: মোদীর সঙ্গে দেখা করলেও সোনিয়া-সাক্ষাতে `না` মমতার, কারণ জানালেন নিজেই
সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা ভিন্ন ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিল্লি সফরে গিয়েও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতার এই দিল্লি সফর ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বকে উল্লেখযোগ্য হিসেবেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা ভিন্ন ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে নিজেদের বিস্তারলাভ করাতে চাইছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়াতে বিজেপি বিরোধী লড়াই জারি রেখেছে জোরকদমে। তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন জাতীয় স্তরের একাধিক নেতাও। সেই আবহে রাজধানীতে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে দেখা না করা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহলও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, "আমরা কেন দিল্লি এসে প্রতিবার সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করব?" সাংবাদিকদের তিনি এও বলেন, "এবার শুধু প্রধানমন্ত্রীর কাছেই সময় চেয়েছিলাম। কংগ্রেসের নেতারা এখন পাঞ্জাবের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত৷ আর সবসময় আমরা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করব? এটা তো সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।"
আরও পড়ুন, মেঘালয় কংগ্রেসে বড় ভাঙন! তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ ১২ বিধায়ক
এদিকে মমতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "সবার প্রশ্নের উত্তর দেব না, আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্টের থেকে জেনে নেবেন।" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "দিদি আসলে মোদীকে ডাকছেন ভাইফোঁটা দিতে। কারণ নিয়তি এটাই যে দিদিকে বাঁচতে হলে মোদীর দালালি করতে হবে। বাংলার বিপ্লবী দিদি আজ মোদীর দালাল।"
তবে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক সফল তা বোঝা যায় মমতার মন্তব্যে। বৈঠক শেষে মমতা বলেন, "রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্য থাকবেই, কিন্তু তার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কাম্য নয়, শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।" অর্থাৎ সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ এপ্রিল কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বিসএসএফ এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা নিয়েও কথা হয়েছে এই বৈঠকে, এমনটাই জানা গিয়েছে।