Derek O`Brien Suspended: চেয়ারম্যানের সঙ্গে তর্কাতর্কি, সাসপেন্ড ডেরেক ও`ব্রায়েন
মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভায় তুমুল উত্তেজনা। সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও`ব্রায়েন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি। তারপরই বাকি অধিবেশনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করলেন ধনখড়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি ডেরেক ও'ব্রায়েনের। তারপরই বাকি অধিবেশনের জন্য তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মণিপুর ইস্যুতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ডেরেক। তারপরেই বাদল অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।
বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁকে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে বলেন। মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার জন্য আজ সংসদে প্রস্তাব এনেছিল আপ। তারপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। রাজ্যসভায় 'বিশৃঙ্খল' আচরণের অভিযোগে ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয় বলে খবর।
মঙ্গলবার থেকেই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা শুরু হবে। এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাকক্ষ। ডেরেকের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাজ্যসভার কার্যাবলিতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। চেয়ারম্যানের অবমাননা করে রাজ্যসভার শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন।
দিল্লি অধ্যাদেশ বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল রাজ্যসভায়। ওই বিলের বিরোধিতা করেই বলতে উঠেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও তিনি জুড়ে দিয়েছিলেন সেই বক্তব্যে। প্রথমেই তাঁকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে বলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। যদিও তাতে কান না দিয়ে কথা চালিয়ে যান ডেরেক।
অন্যদিকে, মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা চলছে লোকসভাতেও। সতের ঘণ্টার আলোচনায় কংগ্রেসের পক্ষে বলবেন রাহুল গান্ধী, গৌরব গগৈ। তৃণমূলের তরফে সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার। বিজেপির অন্যতম বক্তা লকেট চট্টোপাধ্যায়। জবাবি ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর। অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা নিয়ে ফুটছে দিল্লির রাজনৈতিক পারদ। কোন তিরে সরকারপক্ষকে বিঁধবেন বিরোধীরা? খাড়গের ঘরে স্ট্র্যাটেজি বৈঠক। বিরোধীদের বিঁধতে তৈরি শাসক শিবিরও।
আরও পড়ুন, Amit Shah: 'আজ যদি বাংলা ভারতের মধ্যে থাকে, তো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্য আছে'