রাজীর চক্রবর্তী: বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছে ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে এসেছেন। তখনই এনিয়ে ফের চুক্তি হয়ে গিয়েছে। ওই চুক্তি বহুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে বাংলার। এবার চুক্তি পুনর্নবীকরণ হওয়া গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এক্ষেত্রে রাজ্যের মতামত নেওয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের অধিকার অটুট রাখতে গঙ্গা জল বন্টন চুক্তিতে রাজ্যকে অন্ধকারে রাখার বিষয়টি সংসদে তোলার কথা ভাবছে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাত্র ১০ দিন শিয়ালদহে ধরা পড়ল বিনা টিকিটের কত হাজার যাত্রী, শুনলে চমকে যাবেন


রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, আগের আগের চুক্তির টাকা এখনো পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়নি। এদিকে, গঙ্গার ড্রেজিং বন্ধ হয়ে গেছে। যা বন্যার প্রধান কারণ এবং ভূমিক্ষয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬ সালের ফারাক্কা গঙ্গা জল চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে, এবং এর পুনর্নবীকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে  নতুন করে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। চুক্তির ১২ ধারা অনুযায়ী, এই জল চুক্তি পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে পুনর্নবীকরণ করা যেতে পারে।


এর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০১৭ সালে ফারাক্কা বাঁধের প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে বাঁধটি না রাখার কথা বলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, এই বাঁধ প্রতি বছর বন্যার সৃষ্টি করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গার তীরে ভূমিক্ষয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলার জনগণের সম্পত্তি এবং কৃষি জমির ক্ষতি করছে।


এনিয়ে বিজেপির মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সদস্য শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গঙ্গা জলচুক্তির পুনর্নবীকরণ হয়েছে তা তৃণমূল জানত না? তৃণমূণ কংগ্রেন নন ইস্যুকে ইস্যু হিসেব তৈরি করার চেষ্টা করেছে। নিজের ব্যার্থতা ঢাকতে এসব করছে তৃণণূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বুথে হরেছেন। দেবাশীস কুমার নিজের ওয়ার্ডে পরাজিত, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বুথে হেরেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলছেন গ্রামের মানুষ সিরিয়াল দেখে তাই তারা তৃণমূলকে ভোটে দিয়েছে। শহরের মানুষ খবর দেখে তাই তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এসব ইস্যু থেকে মুখ ঘোরানোর জন্য কুণাল ঘোষ নেমে পড়েছেন। দেশে বিরোধী, রাজ্যের স্বার্থের বিরোধী কোনও পদক্ষেপ এই সরকার নেবে না।


উল্লেখ্য, এর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০১৭ সালে ফারাক্কা বাঁধের প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে বাঁধটি না রাখার কথা বলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, এই বাঁধ প্রতি বছর বন্যার সৃষ্টি করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গার তীরে ভূমিক্ষয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলার জনগণের সম্পত্তি এবং কৃষি জমির ক্ষতি করছে।


সংবিধানের ধারা ২৫৩ অনুযায়ী, সংসদ আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারে। তবে, তিস্তা জল বণ্টন ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনাগ্রহ প্রমাণ করেছে যে, সীমান্তবর্তী রাজ্যের সহযোগিতা না পেলে কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের চুক্তি বাস্তবায়িত করতে সক্ষম নয়। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল মনে করছে-গঙ্গা জল চুক্তির পুনর্নবীকরণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল।    



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)