TMC: ইউপিএর সমান্তরাল জোট গড়লে বিজেপির হাতই শক্ত হবে, তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন শিবসেনার
সামনা-য় তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউপিএ-র অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কোথায় ইউপিএ! এর কোনও অস্তিত্বই নেই। তৃণমূল নেত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে এবার সরব হল শিবসেনা। দলের মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসকে দূরে সরিয়ে দিলে মোদী সরকারের হাতকেই শক্ত করা হবে।
তৃণমূল ও কংগ্রেসের দূরত্ব বেশকিছু দিন ধরেই বাড়ছিল। গোয়া ও উত্তরপূর্বের এক রাজ্যে কংগ্রেসকে ধাক্কা দেওয়ার পরও কংগ্রেস সেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়নি। তবে সম্প্রতি রাজ্যসভা থেকে ১২ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করার পর যৌথ বিবৃতিতে কংগ্রেস তৃণণূলের নামই নেয়নি। এরপর বুধবার মমতার বক্তব্য ফাটল আরও সামনে চলে এল। তবে তৃণমূলের এই নীতির সমালোচনা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকেই।
সামনা-য় তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না। ইউপিএর সমান্তরাল জোট গড়ে তোলা হলে বিজেপির হাতকেই শক্ত করা হবে। এনিয়ে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ইউপিএ কোথায়? মমতার এমন প্রশ্ন খুবই সঙ্গত। উদ্ধব ঠাকরেও বারবার এই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ইউপিএর বিকল্প হিসেবে তৃতীয়, চতুর্থ বিকল্প শক্তি গড়ে তোলা হয়েছে। এই দুটি ফ্রন্টের লাভ সবসময় ঘরে তোলে বিজেপি।
আরও পড়ুন-Jawad Cyclone: ধেয়ে আসছে 'জাওয়াদ'! নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন, কী করবেন না
সঞ্জয় নিরুপমের বক্তব্য, যে ইউপিএ ফ্রন্ট আগে থেকেই রয়েছে তাকে কেন আমরা কোন শক্তিশালী করছি না? কংগ্রেসকে পাশে সরিয়ে রেখে কোনও ফ্রন্ট গড়ে তোলার চেষ্টা রাজনীতিতে এক বড় ভুল। ধীরে ধীরে এইসব সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছি। আমরা ফের মমতাজির সঙ্গে দেখা করব। বিরোধী ফ্রন্ট একটাই হবে।
অন্যদিকে, সামনা-র সম্পাদকীয়তে তৃণমূলের বিরোধিতা করা নিয়ে দলের মুখপত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে থেকে এসব লেখা হয়েছে। কংগ্রেসকে দূরে ঠেলে দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। সেটা কেউ বলেওনি। কংগ্রেস যে জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে সেই জায়গাগুলো তৃণমূল ধরার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া গান্ধীকে বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। স্টিয়ারিং কমিটি গড়ুন। যৌথ ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করুন। সেসব করা হয়নি। ওদের নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সেই খালি জায়গা আমরা পূরণ করা চেষ্টা করছি। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলা হবে এমন কথা তৃণমূল কংগ্রেস বলেনি।