নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ সরব মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আইপ্য়াকের সদস্যদের  'গৃহবন্দি' করার প্রতিবাদে  ত্রিপুরায় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। আগামিকাল অর্থাত্‍ বুধবার  আগরতলায় যাচ্ছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আবার পশ্চিমবঙ্গের মতোই ১৬ অগাস্ট 'খেলা হবে' ত্রিপুরায়-ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামনেই বিধানসভা ভোট। বাংলার ছকেই এবার ত্রিপুরা দখল করতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে পেশাদার সংস্থা আইপ্য়াক। জানা দিয়েছে, রবিবার রাতে আগরতলার হোটেলে গিয়ে আইপ্যাক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পুলিস। তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। এরপর সোমবার সকালে যখন গ্রাউন্ড রিসার্চের জন্য হোটেল থেকে বেরোচ্ছিলেন টিমের সদস্যরা, তখন পুলিস বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে হবে।


আরও পড়ুন: আপনিই কি বিরোধী জোটের নেতৃত্বে? বুধে সনিয়ার চা-চক্রের আগে স্পষ্ট করলেন Mamata


কিন্তু কেন? ত্রিপুরা পুলিসের যুক্তি, করোনা অতিমারীর কারণে রাজ্য় জুড়ে এখন কড়া নজরদারি চলছে। সেকারণেই এই ব্যবস্থা। পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। গতকাল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন, 'ত্রিপুরায় তৃণমূল ঠিকঠাক ভাবে পা রাখার আগেই, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের জয়ে তাঁরা এতটাই ভীত যে, আইপ্যাকের ২৩ জন প্রতিনিধিকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপির অপশাসনে এই দেশের গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।'


 



এদিন দিল্লিতেও ত্রিপুরার প্রসঙ্গ তুলে প্রতিহিংসা রাজনীতির অভিযোগ করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, 'ত্রিপুরার নির্বাচন আছে। আমাদের ছেলেরা সেখানে গিয়েছিল। আপনারা দেখলেন, কীভাবে তাঁদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন সেখানকার সরকার'। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? তা খতিয়ে দেখতে বুধবার আগরতলা যাচ্ছে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রে খবর।