নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে তুমুল হইহট্টগোল রাজ্যসভায়। পরিস্থিতি এতটাই নাটকীয় হয়ে উঠল যে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। প্রবল বিরোধিতার মাঝেও এদিন রাজ্যসভায় জোড়া কৃষি বিল পাশ হয়েছে ধ্বনিভোটে। এই প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন,''সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে।''              


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভায় শাসক দল সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু, রাজ্যসভায় বিরোধীদের পাল্লা ভারী থাকায় বিতণ্ডার আশঙ্কা ছিলই। হলও তাই। করোনা আবহে সংসদে জারি হয়েছে কোভিড-বিধিনিষেধ। কিন্তু সেই বিধি ভেঙে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা। পাল্টা স্লোগান দেয় শাসক দলও। তখনই সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের সামনে গিয়ে রুল বুক ও মাইক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।            



এদিন ডেরেক রাজ্যসভায় বলেন,''বাংলায় ২০১১ সাল থেকে কৃষকদের আয় ৯০,০০০ থেকে এখন দ্বিগুণ হয়েছে। বলা ভালো, তিনগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৯০,০০০ টাকা।'' ডেরেক ও'ব্রায়েন আরও বলেন,''২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমান হারে তা ২০২৮ সালের আগে সম্ভব নয়। আপনাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। চারটি বিষয়ের মধ্যে একটি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। কৃষি বিলে রাজ্যের অধিকার, গণবণ্টন ও ফসল কেনার মতো বিষয়গুলিরও বিরোধিতা করছি।''



রাজ্যসভায় যেভাবে ধ্বনিভোটে জোড়া কৃষি বিল পাশ হয়েছে, তা সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নৃশংস হত্যা বলেও মনে করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা। রাজ্যসভা টিভিকে সেন্সর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।        



ডেরেককে পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''কৃষকদের অসুবিধা হবে, এমন একটা শব্দও নেই বিলে। বিলটা আগে পড়ুন। পশ্চিমবঙ্গেই তো গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে।''


আরও পড়ুন- ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু থাকবে, জোড়া কৃষি বিল পাশের পর আশ্বাস মোদীর