নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনভর নাটকের শেষে শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করল পুলিস। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এডিজিপি মুকেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রত্না দে নাগ, মমতা ঠাকুর, নাদিমুল হক ও অর্পিতা ঘোষ এবং বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভারতের ফৌজদারি বিধির ১৫১ ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিস।   


তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের উপরে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে গুয়াহাটি পুলিস।তারা জানায়, তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়করা উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারেন। সেই আশঙ্কায় গুয়াহাটিতে ওনাদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিমানপথে বা স্থলপথে তাঁরা গুয়াহাটি ঢুকতে পারবেন না। 



অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, জাতি-ধর্মের ভিত্তিতে তালিকা থেকে বেছে বেছে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ৪০ লক্ষ মানুষের ঠাঁই কোথায় হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, অসমে গিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে দেখে আসবেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই মতো এদিন অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তৃণমূলের ৮ সদস্য। এরপর বিমান থেকে নামতেই আগাম সতর্কতা হিসেবে শিলচর বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করে অসম পুলিস। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে অভিযোগ করেন, মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে। তাঁদের গায়ে হাতও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।   


অসম পুলিসের পাল্টা দাবি, তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন সাংসদরা। হাতাহাতিতে আহত হয়েছেন দু'জন মহিলা কনস্টেবল ও একজন পুলিস কর্মী। মহিলা কনস্টেবলকে নিগ্রহ ও গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও। তা দেখা গিয়েছে ভিডিওয়। 




তৃণমূল সাংসদদের আটক করার ঘটনায় কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন। তাঁর কথায়, দেশজুড়ে সুপার এমার্জেন্সি লাগু করেছে মোদী সরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসবায় দলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বুকে রয়েছে পেসমেকার। তা সত্ত্বেও তাঁকে বুকে আঘাত করেছে অসম পুলিস। ডেরেকের সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধিরা। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ও সত্য চাপা দিতেই আজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরকারের বলপ্রয়োগের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে যেন দেশে সুপার ইমারজেন্সি চলছে।''


আরও পড়ুন- মমতার বাঙালিপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নাসরিন