বাংলার মানুষ ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন চান, দিল্লির নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বলল TMC
প্রচারের জন্য সামান্য সময় দিয়ে উপনির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বাংলার মানুষ চান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপনির্বাচন হোক। দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই আবেদন করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কমিশন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন,'করোনা সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। এখনই উপনির্বাচন করার উপযুক্ত সময়।'
প্রচারের জন্য সামান্য সময় দিয়ে উপনির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং সুখেন্দুশেখর রায়। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) বলেন,'নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করলাম। তথ্য দিয়ে বলেছি, এপ্রিলে কোভিডের শতকরা হার ছিল ৩৩। সেটা এখন ২ শতাংশের নীচে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, রাজ্যের মানুষের প্রত্যাশা নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হোক। অল্প সময় প্রচারের জন্য দেওয়া হলেও আপত্তি নেই। বাংলার মানুষ চান নির্বাচন হোক।'
উপনির্বাচন করানো নিয়ে সুবিধা-অসুবিধার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। দেশের বিভিন্ন জেলার কোভিড সংক্রান্ত রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুদীপ বলেন,'আমরা নিরাশ নই। আমাদের ধারণা হয়েছে, আজকের আলোচনা ফলপ্রসূ।' ৬ মাসের মধ্যে বাংলায় উপনির্বাচন হতে চলেছে বলে আশাবাদী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'দেশজুড়ে ২০টি উপনির্বাচন বাকি। সেগুলি একসঙ্গে করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তাই বিভিন্ন রাজ্যের রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে ওরা। সাংবিধানিক সংকট হোক সেটা চায় না কমিশন।'
এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'সংবিধান অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করা উচিত। বেআইনি কিছু চাইছি না আমরা। বিজেপি ভয় পাচ্ছে কারণ ওরা জানে সব নির্বাচনে হারবে। ওরা মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে ভাষণ বন্ধ করুক।'
আরও পড়ুন- 'ভবানীপুরের একাধিক ওয়ার্ড কোভিডশূন্য', উপনির্বাচন-সওয়াল Mamata-র