নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খোলায় পদ খোয়াতে চলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি রাঘব রেড্ডিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, এই ৩ জনের উপরে ক্ষুব্ধ সঙ্ঘ নেতৃত্ব। তাঁরা সংগঠনের নিয়ম ভেঙে নিজের স্বার্থপূরণ করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই তিন জনের কার্যকলাপে অস্বস্তিতে পড়ছে মোদী সরকার। পাশাপাশি নাগপুর মনে করছে, দু'টি সংগঠনের বিশাল সংখ্যক সদস্যকে সঙ্ঘের আদর্শে দীক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। মোদীকে তুষ্ঠ করতে 'হিন্দু হৃদয় সম্রাট' প্রবীণ তোগাড়িয়াকেও দরজা দেখাচ্ছে সরসঙ্ঘ।


আরএসএস সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির শেষে ভিএইচপি-র কার্যকরী সমিতির বৈঠক বসবে। ওই বৈঠকেই রেড্ডি ও তোগাড়িয়াকে সরানো হবে। মার্চে সঙ্ঘের প্রতিনিধি সভা। তার আগেই ভিএইচপি-তে তোগাড়িয়া জমানার অবসান চাইছে নাগপুর।


আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের জেলা পরিষদে বিজেপি-কংগ্রেস জোট, রিপোর্ট চাইলেন রাহুল


দিন কয়েক আগেই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। প্রায়ই বিজেপি নেতৃত্বকে অস্বস্তি ফেলছেন তোগাড়িয়া ও উপাধ্যায়। বেশ কয়েকজন নেতাও তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন। এমনতি গুজরাটে পতিদার আন্দোলনেও ভিএইচপি ও তাদের যুব সংগঠন বজরং দলের ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে আরএসএস। ২০১৯ সালে মোদীর ক্ষমতায় ফেরার রাস্তা থেকে কাঁটা দূর করতে দু'জনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সঙ্ঘ।


তবে তোগাড়িয়া ও উপাধ্যায়কে সরানো কঠিন বলেই মত সঙ্ঘ নেতৃত্বের একাংশে। এর আগেও তোগাড়িয়াকে সরানো সম্ভব হয়নি। ভিএইচপিতে সঙ্ঘের লোকরাই রয়েছেন, তবে সংগঠনে তোগাড়িয়ার জনপ্রিয়তা অবিসংবাদী। তাঁদের নিজে থেকেই সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হবে। তা না মানলে হবে ভোটাভুটি।