নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে যখন ভারত বিধ্বস্ত, ঠিক তখনই দেশ জুড়ে অক্সিজেনের ব্য়াপক ঘাটতি। চারদিকে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। হাসপাতালগুলিতে বিপজ্জনকস্তরে অক্সিজেনের যোগান। এই অবস্থায় কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের এও মন্তব্য করেছে যে, প্রয়োজনে ভিক্ষা, ধার কিংবা চুরি করে হলেও যেন কেন্দ্র অক্সিজেন জোগাড় করে। এটা জাতীয় বিপর্যয় এবং এখানে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের জীবনের প্রশ্ন। দেশে চিকিৎসাজনিত কারণে অক্সিজেনের দ্রুত ও মসৃণ পরিবহন নিশ্চিত করতে কেন্দ্র দিল সাত নির্দেশিকা। দেখে নেওয়া যাক কী কী সেই নির্দেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১) চিকিৎসাজনিত কারণে ব্য়বহৃত অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে রাজ্য এবং পরিবহন সংস্থার মধ্যে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। অক্সিজেন পরিবাহী যানবাহনগুলিকে নিখরচায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।


২) রাজ্য়ে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য় অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থা ও সরবরাহকারীদের মধ্য়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।


আরও পড়ুন -ভিক্ষা, ধার বা চুরি করে অক্সিজেন জোগাড় করুন, কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা Delhi High Court-র


৩) শহরের মধ্য়ে অক্সিজেন পরিবাহী যানবাহনগুলি চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি কোনও বাধা ছাড়াই আন্তঃনগর সরবরাহ সক্ষম করতে হবে।


৪)কোনও কর্তৃপক্ষ কোনও জেলা বা অঞ্চল বিশেষে নির্দিষ্ট অক্সিজেন সরবরাহের জন্য অক্সিজেন পরিবাহী যানবাহন সংযুক্ত করবে না।


৫) বাণিজ্য়িক কারণে ব্য়বহৃত অক্সিজেন সরবরাহ  (ন'টি শিল্প এর আওতায় পড়বে না) ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, পরবর্তী নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর হবে।


৬) রাজ্য়/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কঠোর ভাবে EG- 11 দ্বারা প্রস্তুত অক্সিজেন সময়-সময়ে সংশোধিত করতে হবে। 


৭) জেলাশাসক/ ডেপুটি কমিশনার ও পুলিশের এসপি/ পুলিশের ডিসি ব্য়ক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ থাকবে এই নির্দেশিকা কার্যকর করার জন্য়