নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের রাজনীতিতে বিরোধীদের ‘রাফাল’ ইস্যু যেমন মোক্ষম অস্ত্র, তেমনই তাকে প্রতিহত করতে শাসক দলের হাতে রয়েছে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।’ বিপাকে পড়লেই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ সাফল্য আওড়ে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখনও ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে রাজনীতিকরণ করায় তীব্র সমালোচনা করলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল হুডা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জল্পনা ওড়ালেন মাধুরী


২০১৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে মাটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায় সেনা। সে সময় লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল হুডা ছিলেন নর্দান কম্যান্ডের দায়িত্বে। এমনকি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের লাইভ ভিডিয়ো সে সময় তিনি দেখেছিলেন। শুক্রবার চণ্ডীগড়ের অনুষ্ঠিত মিলিটারি লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে হুডা বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রয়োজন ছিল, তাই করা হয়েছে। আমার মনে হয়  সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।” অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকের মন্তব্য, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নাকি ভুল রাজনীতিকদেরই জিজ্ঞাসা করা উচিত।


আরও পড়ুন- গণপিটুনি নয় বুলন্দশহরে পুলিস ইনস্পেক্টরের মৃত্যু নেহাতই দুর্ঘটনা, মন্তব্য আদিত্যনাথের


উল্লেখ্য, পাক জঙ্গিদের উরি হামলার জবাবে দু’বছর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পাল্টা জবাব দেয় সেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাক সেনার ঘাঁটি। পরে এই খবর প্রকাশ্যে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। একটি ভিডিও প্রকাশ করে তার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করে মোদী সরকার। তবে, ভোট যত সামনে আসছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে রাজনীতি প্রবল হচ্ছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের মধ্যে। অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রয়োজন ছিল। সেটাই করা হয়েছে।  তবে, এই মুহূর্তে হুডার এই মন্তব্য রাজনৈতিক শিবিরে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা বহন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।