করের বোঝায় মধ্যবিত্তর পকেট খালি করার রাস্তা তৈরি অরুণ জেটলির
ক্ষমতায় আসার দু-বছরের মাথায় নরেন্দ্র মোদীর সুদিনের স্লোগান বদলে হয়েছে একটু হাসুন। কিন্তু হাসি পাচ্ছে কই? করের বোঝায় মধ্যবিত্তর পকেট খালি করার রাস্তা যে তৈরি করে রেখেছেন অরুণ জেটলি।
ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার দু-বছরের মাথায় নরেন্দ্র মোদীর সুদিনের স্লোগান বদলে হয়েছে একটু হাসুন। কিন্তু হাসি পাচ্ছে কই? করের বোঝায় মধ্যবিত্তর পকেট খালি করার রাস্তা যে তৈরি করে রেখেছেন অরুণ জেটলি।
অরুণ জেটলির বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী পয়লা জুন থেকে সব ধরনের করযোগ্য পরিষেবার ওপর ০.৫ শতাংশ হারে বসল কৃষি কল্যাণ সেস। যার জেরে মধ্যবিত্তর পকেট থেকে বছরে বেরিয়ে যাবে ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
পরিষেবা করের ওপর কৃষি কল্যাণ সেস বসায় মোবাইল ফোনে কথা, কেবল টিভি দেখা, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, ট্রেনে বাতানুকূল শ্রেণির ভাড়া, বিমানের টিকিট, বিমার প্রিমিয়াম - সবেরই খরচ বাড়ছে।
কৃষির উন্নতির জন্য কৃষি কল্যাণ সেসের আওতা থেকে ৪৭টি পরিষেবাকে বাদ রাখা হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাড়তি খরচের দরুণ মধ্যবিত্তর পকেটের ওপর চাপ বাড়বে। এখানেই শেষ নয় নয়। আছে আরও। ১ জুন থেকে ২-লক্ষ টাকার বেশি পণ্য ও পরিষেবার দাম নগদে মেটালে অতিরিক্ত ১ শতাংশ কর দিতে হবে।
বাজেটে ইনকাম ট্যাক্সে বাড়তি ছাড়ের আশা করেছিল মধ্যবিত্ত। যা পূরণ হয়নি। দাম বাড়ছে পেট্রোপণ্যের। সঙ্গে বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি করের বোঝায় গাঁটকাটার ব্যবস্থা হলে ৩২ পাটি বের করা যায় কি!