নিজস্ব প্রতিবেদন: ফসলের গোড়া পোড়ানো রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় পঞ্জাবের অমরিন্দর সিংয়ের সরকারকে তীব্র ভর্তসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। নজিরবিহীনভাবে বিচারপতিদের সমালোচনার মুখে পড়লেন ওই রাজ্যের মুখ্যসচিব। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানোর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনভায়র্নমেন্ট পলিউশন কন্ট্রোল অথরিটি (ইপিসিএ)। এ দিন সেই আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দূষণে মুখ ঢেকেছে রাজধানী। ধোঁয়ার চাদরে মোড়া শহরে প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়াই এখন দায়! কার্যত পরিণত হয়েছে গ্যাস চেম্বারে। এই পরিবেশ তৈরি হওয়ার পিছনে যে অভিযোগ প্রায়শই উঠে আসছে, তা পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোয়। পঞ্জাবের মুখ্য সচিবকে কটাক্ষ করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, “মানুষ মরছে। দূষণের মাত্রা ১৮০০ ছাড়িয়েছে। বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আপনার এই সব সাফল্যে আমরা গর্বিত।”



জানা যাচ্ছে, দূষণ নিয়ে সোমবারে আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণে ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। এই রিপোর্ট খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তরফে এসেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, আপনার কি চান গরিব কৃষকদের এর জন্য শাস্তি দিই। কিন্তু এই শাস্তি সমস্যার সমাধান নয়। উল্টে সরকার এবং অফিসরাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় সুপ্রিম কোর্ট। 


আরও পড়ুন- পুলিসের বিক্ষোভের পাল্টা প্রতিবাদ আইনজীবীদের, তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল আদালতগুলিতে


বিচারপতি মিশ্র জানান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানোর দায় নিতে হবে। এমনকি মাত্রারিক্ত দূষণ কবলিত দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের দায়ও নিতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যসচিব জানান, এই পরিস্থিতি রুখতে প্রয়োজন অত্যাধুনিক মেশিন। কিন্তু কেনার অর্থ নেই। তাঁর এই মন্তব্য শুনে বিচারপতি রীতিমতো ক্ষুব্ধসুরে বলেন, না আছে অর্থ, না আছে পরিকল্পনা, আপনার রাজ্যের মুখ্যসচিব হওয়ার কোনও অধিকার নেই।