নিজস্ব প্রতিবেদন- কৃষি আন্দোলন ও কৃষি আইন নিয়ে একের পর এক ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে Twitter-এ। ২৬ জানুয়ারি হিংসার ঘটনার প্লট তৈরি হয়েছিল Social Media-তে। আন্দোলনরত কৃষকদের আত্মহত্যার খবরের ক্ষেত্রেও অবলীলায় অসত্য তথ্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। গত কয়েক মাসে দেশের অভ্যন্তরীন শান্তির পরিবেশ নষ্টের ক্ষেত্রে Twitter, Facebook, WhatsApp ও LinkedIn খলনায়কের ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই শুক্রবার রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে সোশ্য়াল মিডিয়া কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষা শোনালেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন Ravi Shankar Prasad রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে Twitter কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেছেন, ''ভারতে আপনাদের কয়েক কোটি ফলোয়ার রয়েছে। আপনারা এখানে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করছেন। কিন্তু ভারতের সংবিধান আপনাদের মেনে চলতে হবে। Social Media এখন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণ মানুষের শক্তি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মিথ্যে খবর ও হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করলে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।''


আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রী কেন বাংলায় যাচ্ছেন, সেটাই শুধু বলে গেলেন, 'দাদা'কে খোঁচা Modi-র


২৬ জানুয়ারি Delhi-তে হিংসার ঘটনার পর Twitter কর্তৃপক্ষকে ১৩০০ Handles বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদদের অ্য়াকাউন্ট ছিল সেই তালিকায়। আইটি আইন (৬৯এ)-এর উল্লেখ করে ভারত সরকার একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষকে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, ভারতে ব্যবসা করতে হলে এদেশের আইন মেনে চলতে হবে টুইটারকে। তবে টুইটারের তরফে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল। টুইটার জানায়ষ এভাবে কারও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করাটা গণতন্ত্রবিরোধী। এক্ষেত্রে টুইট ব্লক করা যেতে পারে অথবা অ্য়াকাউন্ট সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা যায়। কিন্তু অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি বন্ধ করা যায় না। টুইটার আরও জানায়, এমন কিছু হ্যাশট্যাগ সমেত শব্দ, যা হিংসা ছড়াতে পারে, সেগুলি আটকানোর জন্য নতুন গাইডলাইন আনবে তারা। যদিও কেন্দ্রের তরফে সেসব দাবি মানা হয়নি। Farmer's Protest-কে কেন্দ্র করে টুইটার ও কেন্দ্রের কাজিয়া তাই এখনই থামছে না।