ওয়েব ডেস্ক: ভারত বাংলাদেশ সীমানা জুড়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। সীমানাবর্তী প্রতিটি জেলার পুলিস সুপার দফায় দফায় আলোচনা করছেন বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে। হাই এলার্ট জারি হয়েছে সীমানা এলাকায়। হিলি, পেট্রাপোল সহ প্রতিটি রপ্তানি কেন্দ্রে রয়েছে বিশেষ নজরদারি। সীমান্তে চলছে বিএসএফ-বিজেবির যৌথ তল্লাশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার জেরে কড়া সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলি তো বটেই, কলকাতাতেও নজরদারি যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। সীমান্তবর্তী প্রতিটি জেলার পুলিস সুপার এদিন দফায় দফায় বৈঠকে করছেন বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে। জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। সীমান্ত জেলা মালদা আগে থেকেই জাল নোটের কারবারের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ হয়েই জাল নোট মালদায় ঢোকে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। বাংলাদেশে হামলার পর মালদায় সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে শহর এলাকাতেও।


দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে চলছে জোরদার তল্লাশি। প্রতিটি গাড়িতেই চেকিং করছে নিরাপত্তরক্ষীরা। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোচবিহারে  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চ্যাংড়াবান্ধায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সীমান্তে বিএসএফের টহলদারির পাশাপাশি, তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস কুকুর। সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে চলছে পুলিসি নজরদারি।


উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকা জুড়ে চলছে জোরদার তল্লাশি। বনগাঁয় পেট্রোপাল সীমান্ত বন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিটি ট্রাকে চলছে নজরদারি।  তল্লাসি চলছে সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট, স্বরুপনগর, বাদুরিয়া, হাসনাবাদ সহ বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে চলছে। চলছে বিএসএফ-বিজেবি যৌথ তল্লাশি।


জঙ্গি হানার পরপরই শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম, সন্দেহভাজন গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। পার্কিং লট, রেস্তোরাঁ, বিমানবন্দরে নজরদারির পাশাপাশি,  শহরে ঢোকা ও বেরানোর প্রতিটি রাস্তায় চলছে নজরদারি।