নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মহামারীতে যারা দিন রাত এক করে কাজ করেছেন সেই চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরেই হামলা হচ্ছে। এর প্রতিরোধে কড়া অর্ডিন্যান্স এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অর্ডিন্যান্সের বলে কেউ হামলা করলে তার ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। অর্ডিন্যান্সটি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী আজ টুইট করেন, ‘ দ্যা এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স ২০২০ এর মধ্যে দেশে কোভিড নিয়ন্ত্রণে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে চিকিত্সা পরিষেবা দিচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আপোস করা হবে না।’


আরও পড়ুন-ভারতে করোনা রোগী চালান করছে পাকিস্তান, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য জম্মু-কাশ্মীরের ডিজির


ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরে হামলা হলে কড়া শাস্তি হবে। হতে পারে ৭ বছর জেল কিংবা মোটা টাকা জরিমানা। এনিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও রকম আপোস করা হবে না।


এদিকে, মহামারী আইনকে কড়া করছে সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, এতে সড়ক, রেল, জলপথ ও বিমানপথে যাতায়াতের ক্ষত্রে সহজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, গোটা দেশেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যারা কাজ করছেন তাদের স্যলুট করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু তার পরেও কিছু লোক রয়েছে যারা মনে করছে ওইসব স্বাস্থ্যকর্মীরাই কোভিড ছড়াচ্ছে। এই ধরনের মানসিকতা বরদাস্ত করা হবে না। সভ্য সমাজে এ জিনিস চলতে পারে না।


আরও পড়ুন-'লকডাউন মানুন, সুস্থ থাকুন', খিদিরপুর, পার্কসার্কাস, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি সারপ্রাইজ ভিসিটে মুখ্যমন্ত্রী


জাভরেকর বলেন, কোনও চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ওপরে হামলা হলে ৫০,০০০-২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকাও জারিমানাও হতে পারে। এছড়াও সাধারণ ঘটনার ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর জেল ও গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ধরা পড়লে কোনও জামিনও পাওয়া যাবে না।


সংশোধিত এপিডেমিক অ্যাক্টে নিরাপত্তা পাবেন চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাটেনডেন্ট, আশাকর্মীরা। তাদের বিমার ব্যবস্থাও করা হবে।