নিজস্ব প্রতিবেদন: কুয়াশায় ট্রেন চলছে ধীর গতিতে। কিন্তু তার জন্য তো আর পরীক্ষা থেমে থাকবে না? কোনও ভাবেই ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারব না বুঝতে পেরে ভাইকে ফোন করলেন উত্তর প্রদেশের মৌ-এর এক পরীক্ষার্থী। বোনের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সহ একটি টুইট করল ভাই। সেই টুইটে  ট্যাগ করেন রেলকে। তাতেই কাজ হল ম্যাজিকের মতো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ, পঞ্চাশোর্ধ্বরা পাবেন Vaccine: Harsh Vardhan 


বৃহস্পতিবার ছাপরা-বারাণসী ইন্টারসিটি স্পেশাল ট্রেনে চড়ে বেসিক টিচার্স সার্টিফিকেট(DLED) পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন উত্তর প্রদেশের মৌ জেলার বাসীন্দা নাজিয়া তাবাসসুম। ট্রেনটির বারাণসী(Varanasi) পৌঁছনোর কথা ছিল সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে। কিন্তু কুশায়ার জন্য ট্রেনটি সকাল ৮টা ২৫ মিনিটেও বারাণসী না পৌঁছনোয় ফোনে ভাই আনোয়ার জামালকে জানান নাজিয়া। 


ওই ফোন পেয়েই নাজিয়ার অ্য়াডমিট কার্ড সহ একটি টুইট করেন আনোয়ার। লেখেন, 'ছাপরা-বারাণসী স্পেশাল ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট লেটে চলছে। বেলা ১২টায় বারাণসীতে আমার বোনের পরীক্ষা রয়েছে। দয়া করে ওকে পরীক্ষাকেন্দ্র পৌঁছতে সাহায্য করুন। ' ওই টুইটে আনোয়ার ট্যাগ করেন রেলকে। 
ওই একটি টুইটই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রেলের তরফে আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বাস দেওয়া হয়, তাবাসসুম ঠিক সময়েই বারাণসী পৌঁছবে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লেটে চলা ট্রেনটিকে সর্বোচ্চ গতিতে চালিয়ে বারাণসী পৌঁছে দেওয়া হয় ১১টার আগেই।




আরও পড়ুন-'কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে', বাংলায় পদ্মবাগান তৈরিতে বিজেপির চৈতন্য শরণ  


এমন  ঘটনায় চমকে গিয়েছেন আনোয়ার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, একটি টুইট করে রেলের সাহায্য চেয়েছিলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে বোনের মোবাইলে ফোন করা হয় রেলের তরফ থেকে। তাঁকে ঠিক সময়ে বারাণসী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। মৌ স্টেশনে ট্রেনটি এসেছিল সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে। তা বারাণসী পৌঁছে যায় ১০.৫৭ মিনিটে।


বোনকে ঠিক সময়ে বারাণসী পৌঁছে দেওয়ায় রেলকে টুইট করে ধন্যবাদ জানান আনোয়ার। এনিয়ে পাল্টা টুইট করে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল(Piyush Goyal) লেখেন, 'আপনার বোনকে সাহায্য করতে পেরে আমরা খুশি। ও ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে। যাত্রীদের  সুবিধের জন্য রেল সব সময়েই সাহায্য করতে তৈরি রেল।'