নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়জয়কার বিজেপির।  চারটি আসনের মধ্যে ৩ আসনেই জয়ী বিজেপি। একটি আসন দখল করেছে কংগ্রেস। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল ওই ৪ আসনের উপনির্বাচনে শোচনীয় ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টাউন বড়দোয়ালি আসনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি ৬,১০৪ ভোটে হারিয়েছেন কংগ্রেসের আশিস সাহাকে। ওই আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুরমা বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী স্বপ্না দাস পাল। তিনি ৪,৫৮৩ ভোটে হারিয়েছেন নির্দল প্রার্থী বাবুরাম সতনামিকে। যুবরাজনগর আসনটিও দখল করেছে বিজেপি। ওই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ। তিনি সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথকে হারিয়েছেন ৪,৫৭২ ভোটে।




এবারের উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল আগরতলা আসনটি। সেখানে লড়াই করেছিলেন বিজেপি ছেড়ে আসা কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন। তিনি ওই আসনে জয়ী হয়েছেন ৩১৬৩ ভোটে। হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অশোক সিনহাকে। জেতার পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এই জয় রাজ্যের উপরে বিশাল প্রভাব বিস্তার করবে। এর জন্য আমার এলাকার ভোটদাতাদের অনেক ধন্যবাদ। তাঁদের কাছে আমি চির ঋণী। কোনও স্ফুলিঙ্গকে আপনি অবহেলার চোখে দেখতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই স্পার্কই সবকিছু জ্বালিয়ে দিতে পারে। এই স্পার্ক গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে।


উপনির্বাচনে ভোট পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। চার আসনের উপনির্বাচনে এবার গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছে ৪৪.৯০ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছে ২০.১০ শতাংশ, সিপিএম ১৯.৭৫ শতাংশ, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২.৮৫ শতাংশ ভোট। তৃণমূলের ভোট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক টুইটে তিনি চারটি আসনে তৃণমূলের ভোট পাওয়া সংখ্যা দিয়ে লিখেছেন, পুরসভার ভোটেও এর থেকে বেশি ভোট পায় প্রার্থীরা।  অন্যদিকে, দলের এই ফলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্য়মে বলেছেন, অল্প সামর্থ্য নিয়ে লড়াই করেছিলাম। আমাদের সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এটা একটা উপনির্বাচন। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কথা অস্বীকার করা যাবে না।


রাজ্যের উপনির্বাচনের ফল নিয়ে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, উপনির্বাচনে শাসকদলের জুলুম বেড়েই চলেছিল। ২০১৮ সালেও একই হয়েছিল। কংগ্রেস ভোট পেয়েছিল ১.৫০ শতাংশ। একুশের পুরভোটে কংগ্রেস ১ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। ভোটদাতারা শাসকদলের রূপ দেখেই তাদের দিকে ঝুঁকেছে। মানুষ দেখেছে শাসক দলের হাত থেকে বাঁচতে হবে। এটাই এখানকার ভোটারদের চরিত্র।


   আরও পড়ুন-একটা স্ফুলিঙ্গই সবকিছু পুড়িয়ে দিতে পারে, সরব আগরতলায় জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)