Tripura Bypolls: প্রার্থী যেই হোন মনে রাখবেন আপনারা মমতার হাতই শক্ত করছেন, ত্রিপুরার সভায় বললেন অভিষেক
অভিষেক বলেন, আগামী ২৩ জুন যখন ভোট দেবেন তখন একবার ভেবে দেখবেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের নামে ডবল চুরি করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনের উপরেই জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সেই উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ভোট দেওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সোমবার সুরমায় এক সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রার্থী যে-ই হোক না কেন, মনে রাখবেন আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের একমাত্র নেত্রী যিনি বিজেপির কাছে মাথা নত করেননি। বিজেপির চেখে চোখ রেখে কথা বলেন। কংগ্রেস, সিপিএমকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট ভাগ করে দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করা। এখানে ৬০টি আসনের মধ্যে ৬টাও বিজেপি যাতে না পায় তা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে অনুরোধ নিজের ভোট নিজে দিন। বিজেপিকে উত্খাত্ করুন।
আগামী বছর ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে সুরমার প্রচারে অভিষেক বলেন, আগামী ২৩ জুন যখন ভোট দেবেন তখন একবার ভেবে দেখবেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের নামে ডবল চুরি করা হচ্ছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে দিল্লি ও রাজ্যে একই সরকার। সেখানে রাজ্যের কী পরিস্থিতি? আগরতলার রাস্তা দেখুন। একশো মিটার রাস্তা ভালো নেই। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষার হাল খারাপ। জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রেকর্ড বলছে, উত্তরপূর্ব ভারতে রাজনৈতিক হিংসা সবচেয়ে বেশি হয় ত্রিপুরায়। বেকার সবচেয়ে বেশি ত্রিপুরায়। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ২০২১ সালের ২ অগাস্ট ত্রিপুরায় এসেছিলাম। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে যাব, আমার গাড়ির উপরে হামলা হল। ওরা ভেবেছিল, দু-একটা চিমটি কাটলেই আমরা পালাব। কিন্তু আমরা সেই দল নই। ধমকালে, চমকালে বসে যাব এমন দল আমরা নই। যত ধমকাবে ততই তৃণমূলের সমর্থন বাড়বে। তৃণমূল দিল্লির কাছে মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি। আপনারাও বিক্রি করবেন না। আপনার প্রতিটি কাজে দিল্লির অনুমোদন লাগবে। এমন সরকার কি চাইবেন? নাকি বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন? মাথা উঁচু করে ভোটে দেবেন আর মাথা নিচু করে আপনাদের প্রতিটি কাজ করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যে বিরোধীদের উপরে হামলা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, কয়েকদিন আগে সুরমায় ব্রজবাবু ও তাঁর ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কীভাবে ওদের মেরেছে দেখুন। এখানে মানুষের কোনও অধিকার নেই। এর আগে সিপিএম, বিজেপিকে সুযোগ দিয়েছেন। কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন জানেন? এরা উন্নয়ন চায় না। বিজেপি বলে এলোমেলো করে দাও, লুটেপুটে খাই।
আরও পড়ুন-হিমাচলের সোলানে মাঝ আকাশে বিগড়ে গেল রোপওয়ে, আটকে বহু পর্যটক