Tripura: পুলিসি কাজে বাধার অভিযোগ, অভিষেক-কুণাল-দোলা-ব্রাত্যর বিরুদ্ধে দায়ের FIR
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল খোয়াই থানার পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল পুলিস। মঙ্গলবার গভীর রাতে খোয়াই থানায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে সেই মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গিয়েছে, মামলাটি করছেন খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা। অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ দোলা সেন, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। এছাড়া অভিযুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাসকে। অভিযোগ, রবিবার থানায় বসে পুলিসের কাজে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহাদের কোর্টে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা। ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে 186/34 ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Warning! বেশ কয়েক বছরে তলিয়ে চলে যেতে পারে ভারতের এই ১২টি উপকূলবর্তী শহর
আরও পড়ুন: Rajya Sabha: টিকা সার্টিফিকেটে Modi-র ছবি ও বার্তা কেন? বিরোধীদের জবাব দিল কেন্দ্র
যদিও পুলিসের এই অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, "বিজেপির নির্দেশে পুলিস এই অভিযোগ করেছে। ভয়ে পেয়ে মামলা করেছে বিজেপি। আমরা কোনও কাজে বাধা দিইনি। আমরা আইনি পথে লড়ব। আরও দশগুণ শক্তি নিয়ে ত্রিপুরায় যাব।" তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, "অভিযোগ থাকলে রবিবার কোর্টে কেন বলেনি পুলিস? এতদিন পর কেন মামলা দায়ের?" তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা তৃণমূলের অভ্যাস। তাঁদের মুখে মিথ্যে মামলার কথা মানায় না।"।
শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে 'আক্রান্ত' হন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। এরপর গ্রেফতার করা হয় তিন যুব নেতা-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মীকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় তৃণণূল। তড়িঘড়ি ত্রিপুরা উড়ে যান তৃণমূলের তিন শীর্ষ নেতা দোলা সেনা, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। রবিবার ত্রিপুরায় গিয়ে 'সহকর্মী'দের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে খোয়াই থানাতে ঠায় বসেছিলেন তিনি। শেষে ত্রিপুরা (Tripura) আদালতে জামিন পেয়েছেন ১৪ জন তৃণমূল নেতা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁদের।