Tripura: হিজাব পরা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা, প্রতিবাদ করায় সহপাঠীকে মারধর...
Tripura Hijab Row: প্রতিবাদী ওই ছাত্রকে স্কুলের সামনেই মারধর করা হয়। কোনও শিক্ষকই মারধর থামাতে আসেননি। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও পুলিসের দাবি তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ত্রিপুরার এক ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে স্কুলে হিজাব পরে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে তারা। ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার বিশালগড় এলাকায় কারাইমুরা স্কুলের ঘটনা। ঘটনার তীব্র নিন্দা বিভিন্ন মহলে। ঘটনায় পুলিস একটি মামলা করেছে। এবং ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। আপাতত জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা বহিরাগত। স্কুলের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুন: Kedarnath Yatra: কেদার যাত্রা পথে ভয়ঙ্কর ধস, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেল রাস্তা, একাধিক প্রায় ১৯
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রতিবাদী ওই ছাত্রকে টেনেহিঁচড়ে বের করে স্কুলের সামনেই মারধর করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ কোনও শিক্ষকই সেই মারধর থামাতে আসেননি। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। যদিও
পুলিসের দাবি তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে।
এলাকায় বিপুল পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্লাসও বন্ধ রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা প্রশাসন বলেছে, তারা পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছে। বিষয়টি তাদের পর্যবেক্ষণে আছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এক সপ্তাহ আগে কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্কুলে আসে এবং স্কুল প্রাঙ্গণে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরা নিয়ে উদ্বেগ জানায়। তারা বলে, এ ধরনের পোশাক সরকারি পোশাকবিধির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। স্কুলপ্রাঙ্গণে হিজাব নিষিদ্ধ করার জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধও করে তারা। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এমন কোনও বিধির ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই বলেই জানা গিয়েছে। যদিও ওই ঘটনার জেরেই হয়তো প্রধান শিক্ষক মৌখিকভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন। আর এর পরই এরকম ঘটনা।
আরও পড়ুন: Manipur Violence: সংসদে আলোচনার আগেই ফের নতুন করে হিংসা মণিপুরে, অব্যাহত মৃত্যুমিছিল!
জানা গিয়েছে, কারাইমুরা স্কুলটি সরকারি সহায়তায় পরিচালিত। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের যে দলটি দেখা করেছিল, তারা সবাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত।