ওয়েব ডেস্ক: আগরতলা থেকে কলকাতা। ট্রেনে মাত্র ১২ ঘণ্টা। পুজোর আগেই চালু হবে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে রেল যোগাযোগ। আগরতলায় দুই দেশের রেলপথ সংযুক্তিকরণের শিলান্যাসে আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানেই গড়াল দিল্লিগামী ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেসের চাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেললাইন। একসময় সাম্রাজ্যের প্রতীক। এখন সৌভাগ্যের প্রতীক। সম্ভাবনার প্রতীক। রবিবার রেলপথে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে গেল ত্রিপুরা। দিল্লিগামী ত্রিপুরা সুন্দরী সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসকে সবুজ সঙ্কেত দিলেন রেলমন্ত্রী।


অনুষ্ঠানে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্যপাল তথাগত রায়, বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এদিনই আগরতলা থেকে আখাউড়া রেলপথেরও শিলান্যাস হল। এই পথে রেল চালু হলে, কলকাতার আরও কাছাকাছি চলে আসবে আগরতলা।


আরও পড়ুন উর্দি বদলাচ্ছে রেলের ফ্রন্ট অফিস কর্মী, টিকিট পরীক্ষক, গার্ড, ড্রাইভার এবং কেটারিং স্টাফের


আকাশপথে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব ৩২৭ কিলোমিটার। রেলের ঘুরপথে ত্রিপুরা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬১৩ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৪ কিলোমিটার। ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস NJP পৌছতেই সময় নেয় ২৪ ঘণ্টা। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা থেকে ১২ ঘণ্টাতেই কলকাতা পৌছনো সম্ভব। এই যোগাযোগ সম্পূর্ণ করতে ভারতে মাত্র সাড়ে ৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করতে হবে। রেলের ছিন্নসূত্র জুড়তে বাংলাদেশে পাততে হবে ১০ কিলোমিটারের সামান্য বেশি রেললাইন।


শুধু কলকাতাই নয়। বাংলাদেশের বহু এলাকার সঙ্গেও ত্রিপুরার যোগসূত্র সহজ করবে নতুন রেলপথ। রেলপথে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। রেলপথে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ২১৩ কিলোমিটার। সীমান্ত শিথিল করে অবাধ পরিবহণে উপকার দুই দেশেরই। চার দশক ধরে এই শিক্ষা আমাদের দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। রেলের মাধ্যমে এই উপমহাদেশে সেই সুযোগ কি আমরা নিতে পারি না। আগরতলা থেকেই শুরু হোক না স্বপ্নদেখা।