ওয়েব ডেস্ক: জবর খবরে আজ আপনাদের দেখাব এক অভিনব পুজো। যে পুজোয় পুরোহিতকে রাষ্ট্রীয় সেলামি দেয় পুলিস! দুদিনের জন্য রাজা বনে যান পুরুতমশাই! এমন পুজো দেখতে হলে যেতে হবে ত্রিপুরার পুরানা হাভেলিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ন্যাসীর শিঙা, হরেক রকমের বাদ্যি আর পুলিস ব্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সেলামি দিয়ে শুরু হয়ে গেল খার্চি পুজো। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার অদূরে পুরানা হাভেলি। সেখানেই এক সপ্তাহ ধরে চলবে মহাদেবের আরাধনা। মঙ্গলবার থেকে তা শুরু হয়ে গেছে। দেবাদিদেবের ১৪টি মূর্তির পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন উপজাতিরা।


খার্চি পুজোর প্রধান পুরোহিতকে বলা হয় রাজচন্তাই। রাজআমলে রাজার চেয়ে রাজচন্তাইয়ের সম্মান কোনও অংশে কম ছিল না। সেই পরম্পরা এখনও বজায় রাখা হয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় প্রধান পুরোহিত রাজবেশে হাজির হন। তাঁকে রাষ্ট্রীয় সেলামি দিয়ে শুরু হয় পুজোর অনুষ্ঠান।


বলির পাঁঠা, মদ, পুজোর অন্য উপকরণ থেকে শুরু করে পুরোহিতের বেতন, কমিউনিস্ট শাসিত ত্রিপুরায় সবই আসে সরকারি কোষাগার থেকে। পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক পদাধিকার বলে এই পুজোর সেবাইত। মন্দিরে চণ্ডীপাঠের দায়িত্বে আছেন সরকারি বেতনভুক ব্রাহ্মণ পুরোহিত।


সংস্কৃতে মন্ত্রে আউড়ে নয়! উপজাতিদের মাতৃভাষা ককবরকে, তার মাধ্যমেই হয় মহাদেবের আরাধনা। খার্চি পুজোকে কেন্দ্র করে সাতদিন ধরে মেলা চলবে পুরানা হাভেলিতে। মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতে পুজোকে ঘিরে এটাই সবচেয়ে বড় উত্সব।