নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ১৫ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মৃত্যু হল বিহারের বৈশালীর অগ্নিদদ্ধ তরুণীর। তাঁকে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল এলাকার ৩ যুবক। নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সেই ঘটনা টানা দুসপ্তাহ চেপে যাওয়ার অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ক্ষমা চেয়ে শাকিব বললেন, "আমি (কালী পুজো) উদ্বোধন করিনি, একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে আমি তা করব না"


টুইটারে রাহুল গান্ধী নীতীশ কুমারকে নিশানা করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'কার অপরাধ বেশি বিপজ্জনক! যারা ওই তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে নাকি যে তার রাজনৈতিক লাভের জন্য গোটা ঘটনা এতদিন চেপে গিয়েছিল। এটাই সুশাসনের নুমনা!'


কী হয়েছিল বৈশালীতে!


বেশ কিছুদিন ধরেই বছর কুড়ির এক তরুণীকে বিরক্ত করছিল বৈশালীর হাজিপুরের কয়েকজন যুবক। ওইসব যুবক তরুণীর গ্রামেরই। এর প্রতিবাদ করার ওই তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় ৩ যুবক।


গত ৩০ অক্টোবরের ঘটনা। তরুণীর গ্রামের চন্দন নামে এক যুবক তার বন্ধুদের নিয়ে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটায়। তরুণীকে ভর্তি করা হয়ে হাজিপুরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই পুলিসের কাছে চন্দন ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন তরুণী। পরে ওই তরুণীকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেও ফের তার বয়ান রেকর্ড করা হয় ও তা ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। সেই বয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই চন্দন ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিস। শেষপর্যন্ত ১৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।



আরও পড়ুন-ছটে পুরুলিয়াবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেন্দুর ছবি দিয়ে পোস্টার-হোর্ডিং, তুঙ্গে জল্পনা


ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামে তরুণীর পরিবারের লোকজন। মৃতদেহ সত্কার করতেও অস্বীকার করা হয়। পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ার পর তরুণীর দেহ সত্কার করে তার পরিবার। চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকীরা এখনও ফেরার।