নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠান্ডা পানীয়র বোতল। তাতের ভিতর রাখা পানীয়। স্কুল চলাকালীন ক্লাসে বসে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী সেই পানীয় গলায় ঢালছিল একটু একটু করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাজস্থানের রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক পিষে দিল ১৩ বরযাত্রীকে


তখনই বিষয়টি সহপাঠীদের নজরে আসে। তারা জানতে চায়। কিন্তু ঠান্ডা পানীয় বলে এড়িয়ে যায় দুজনেই। তাতে সহপাঠীদের কৌতুহল আরও বাড়ে। পানীয়র গন্ধে তারা বুঝতে পারে, ওই বোতলে আর যাই থাক ঠান্ডা পানীয় নেই।


তত্ক্ষণাত্ সহপাঠীরা ছুটে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযোগ জানায় ওই দুই ছাত্রীর বিরুদ্ধে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পাকড়াও করে ওই দুজনকে।


আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে সংঘর্ষ দুই যুদ্ধবিমানের, দেখুন ভিডিয়ো


শনিবার ঘটনাটি ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার নিদামানুরু গ্রামের স্কুলে। স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্রীর কাছ থেকে বোতল ভর্তি বিয়ার পাওয়া গিয়েছে। তারা ক্যান বিয়ার নিয়ে স্কুলে এসেছিল। তার পর সেই বিয়ার ঠান্ডা পানীয়র বোতলে নিয়ে খাচ্ছিল।


স্কুলের প্রধানশিক্ষক বাট্টু সুরেশ কুমারের বক্তব্য থেকে সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারণ, ওই পড়ুয়াদের দাবি করেছে যে বাড়িতে বাবাকে দেখেই শিখেছে মদ্যপান। প্রথম প্রথম বাবার ফেলে রাখা বোতল থেকে চেখে দেখেছে। তার পর নিজেরাই সংগ্রহ করেছে।


আরও পড়ুন: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করলেই খতম, কড়া হুঁশিয়ারি সেনার


শনিবারের এই ঘটনাটি সামনে আসে সোমবার। কারণ, ওই দিন ওই দুই ছাত্রীকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন প্রিন্সিপ্যাল। তাদের টিসি দিয়ে দেওয়া হয়।


তার পরই এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই দুই পড়ুয়াও আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। তখন পড়ুয়াদের অভিভাবককে স্কুল থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। তাই এবার স্কুলই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল।