নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের দুই সাধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রে। পালঘরের পর এবার রাজ্যের নানদেদ জেলায় ২ সাধুকে তাদের আশ্রমের মধ্যেই খুন করে হাওয়া হয়ে গেল আততায়ীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লাদাখে কয়েকজন জওয়ানকে আটক করে চিন! সংবাদমাধ্যমের খবর উড়িয়ে দিল সেনা


শনিবার রাতে নানদেদ-এর উমরি তালুকে খুন হলেন বালব্রহ্মচারী শিবাচার্য ও তাঁর সঙ্গী ভগবান শিন্ডে নামে ২ সাধু। আশ্রমের বাথরুমের কাছ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস।


পুলিসের সন্দেহ


নানদেদ পুলিস মনে করছে চুরির উদ্দেশ্যেই আশ্রমে ঢুকেছিল আততায়ীরা। কারণ তারা নগদ ৬৯,০০০ টাকা, একটি ল্যাপটপ-সহ বেশকিছু মূল্যবান জিনিস নিয়ে গিয়েছে। সবেমিলিয়ে চুরি যাওয়ার জিনিসপত্রের মূল্য হবে দেড় লাখ টাকা।


কীভাবে খুন


পুলিসের সন্দেহ আততায়ীদের সঙ্গে ধস্তধস্তি হয়েছিল শিবাচার্যের। পের উঠতে পারেননি তিনি। শেষপর্যন্ত তাঁকে ও তার সঙ্গী ভগবান শিন্ডেকে চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনিরা। যাওয়ার সময় শিবাচার্যের গাড়ির চাবি হাতিয়ে তা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটি ধাক্কা দেয় আশ্রমের গেটে। ওই আওয়াজ পেয়ে জেগে ওঠেন আশ্রমের অনেকেই। তখন আতাতায়ীরা একটি বাইকে চড়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।


কী বললেন এসপি


নানদদে-এর এসপি বিজয়কুমার মাগর জানিয়েছেন, জেলা পুলিসের ৫টি দল তৈরি করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকায় বহুদিন ধরে ছিলেন শিবাচার্যজি। কর্ণাটক থেকে এসে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করতেন। খুনি সাধুদের পরিচিত বলেই মনে হচ্ছে।



আরও পড়ুন-ফের রেকর্ড করোনা সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায়, দেশে মোট আক্রান্ত ১.৩১ লক্ষ, মৃত ৩৮৬৭


পালঘরের ঘটনা


উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই মহারাষ্ট্রের পালঘরে এক সাধু তার সঙ্গীকে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। ওই ঘটনায় সম্প্রায়িক রঙ দিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হয়েছিল। কোনওক্রমে তা সামাল দেন উদ্ধব ঠাকরে। জানা গিয়েছিল ছেলেধরা সন্দেহেই পিটিয়ে খুন করা হয় ২ জনকে।