নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে পেঁপে পাতার রস খেয়ে মৃত্যু ভাই বোনের। আজব ঘটনায় অবাক চিকিৎসা মহল। জানা যাচ্ছে, তারা নাকি ইউটিউব দেখে সেই রস তৈরি করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার দাদা (১৮) বোন (১০) জ্বর ও ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা পেতে পেঁপে  পাতার একটি টনিক তৈরি করেছিল। যেটি খেয়ে তিন ভাইবোনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বাকি একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। 


সোলানের ডেপুটি কমিশনার কে সি চা মান বলেন, 'তাঁদের বোন ইউটিউব দেখে টনিক বানানোর কথা তোলে। সেই মোতাবেক সমস্ত ব্যবস্থা করে দাদা। মা রাম দেবীর সঙ্গে থাকতেন তিন ভাই-বোন। তবে পেঁপে পাতার রস খেয়ে এমন ঘটনায় অবাক অনেকেই'। 


তাঁর কথায়, “আমি চিফ মেডিকেল অফিসারকে (সিএমও) অবিলম্বে একটি নির্দেশ দেওয়ার জন্য বলেছি যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এ জাতীয় টনিক যেন কেউ না খায়। এই মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। কোনও সার্টিফাইড ওষুধের তত্ত্বাবধানে না হলে কারও বাড়িতে এ জাতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা উচিত নয়'। 



প্রসঙ্গত, ডেঙ্গির জীবাণু ও প্লেটলেটের গঠন প্রায় একরকম। তাই ডেঙ্গি সেরে যাওয়ার সময় রোগীর শরীরে প্লেটলেট হুহু করে কমতে থাকে। আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ডেঙ্গি জীবাণুকে মারতে গিয়ে প্লেটলেটকে মারে। তাই তৈরি হয় সমস্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের একাংশের এমনই দাবি করে থাকেন। প্লেটলেট বাড়াতে ডাক্তারদের একাংশই তাই পেঁপে পাতার রস প্রেসক্রাইব করে থাকেন। তাঁদের দাবি, অ্যালক্স ১২ নামে জিন রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। পেঁপে পাতার রস এই জিনকেই প্লেটলেট উৎপাদনে প্রভাবিত করে। শুধু আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা নন, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরাও পেঁপে পাতার রস থেকে তৈরি ক্যাপসুল প্রেসক্রাইব করছেন। যদিও ডাক্তারদের একাংশের মত, পেঁপে পাতার রসের কার্যকারিতা এখনও ‘ক্লিনিক্যালি’ প্রমাণিত হয়নি।


তবে ওই দু-জনের ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না। কোনও ভাবে  বিষক্রিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।