নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালি যুবকের খুনের ঘটনার পর অসমের বাঙালি অধ্যুসিত এলাকাগুলি এখন থমথমে। ক্ষোভে ফুঁসছেন অনেকে। বহু মানুষের রোষ গিয়ে পড়েছে এখন উলফার ওপরে। শনিবার বীরপাড়ায় নজীরবিহীনভাবে দুই উলফা নেতারা কুশপুতুল পোড়ানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বকেয়া বেতন উসুল করতে ‘অপারেশন’, সল্টলেকের কথিশপে ডাকাতিতে ধৃত প্রাক্তন কর্মী


শনিবার থেকে রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে ১৪ বাঙালি সংগঠন। এর মধ্যেই কাছাড়ে জনতা পিটিয়ে মারল ২ যুবককে। সন্দহে করা হচ্ছে এরা ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড(খাপলং) এর জঙ্গি।


শনিবার ওই ঘটনা ঘটে কাছাড়ের যোধপুর থানা এলাকার অসম-মণিপুর সীমান্তে। এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ ওই দুজন বাজারঘেঁসা একটি গ্রামে একটি ঠিকানা খোঁজার জন্য গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করে। ততেই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। কাছাড়ের এসপি রাকেশ রোশন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘গ্রামহবাসীরা লক্ষ্য করে ওই দুজনের কাছে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। এতেই তাদের সন্দেহ আরও জোরাল হয়। গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরে ওই দুজনকে। তারপর চলে গণপ্রহার।‘


আরও পড়ুন-ইরানের তেল কেনায় ভারতকে ছাড়; প্রধান কারিগর মোদী, দাবি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর


গ্রামবাসীদের মারধরে মারাত্মক জখম হয় ২ জন। তাদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে আনা হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিহত দুই যুবকের কাছ  থেকে ২টি একে ৫৬ রাইফেল, দুটি ইনসাস রাইফেল, একটি চিনা মেসিনগান, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ১২ বোরের বন্দুক, বিপুল পরিমণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসপি আরও জানিয়েছেন, নিহত দুই জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


এদিকে, গ্রামবাসীদের বক্তব্য নিহত দুজনের সঙ্গে ছিল আরও ৪ জন। দুজন ঘেরাও হয়েছে দেখেই তারা পালিয়ে যায়।