নিজস্ব প্রতিবেদন- সাব-লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী ও সাব-লেফটেন্যান্ট রিতি সিং। নিজেদের নামগুলো শোনার পর এত গর্ব হয়তো এর আগে তাঁদের কখনো হয়নি। দুজন মহিলা অফিসার যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তাঁরা ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখে ফেললেন। ভারতীয় নৌসেনার ইতিহাসে এই দুজন মহিলা সাব লেফটেন্যান্টের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে এই দুজন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন হবেন। এমনিতে ভারতীয় নৌসেনার লিঙ্গবৈষম্যের কোনও জায়গা নেই। ইন্ডিয়ান নেভি-তে বিভিন্ন পদে একাধিক মহিলা অফিসার কর্তব্যরত। কিন্তু এর আগে কখনও কোনও মহিলা অফিসারকে কোনও ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে ডিউটিতে রাখা হয়নি। তার অবশ্য অনেকগুলি বাস্তবিক কারণ ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যুদ্ধ জাহাজের ক্রিউ হিসেবে থাকা মানে লম্বা সফর। যুদ্ধ জাহাজের ক্রিউ কোয়ার্টার মহিলাদের ব্যক্তিগত পরিসর হিসাবে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত নয়। তাছাড়া যুদ্ধ জাহাজে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থাও থাকে না। ফলে সবদিক থেকে বিচার করলে মহিলাদের যুদ্ধ জাহাজে মোতায়েন করলে তাঁদের বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। তবে সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ও রিতিকে এই সব সমস্যার সম্মুখীন হয়তো হতে হবে না।  কারণ তাঁদের ডিউটি থাকবে যুদ্ধ জাহাজের MH-60 R হেলিকপ্টারে। ফলে দুজনেই যে যুদ্ধ জাহাজে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়বেন তা নয়। তবে প্রয়োজনে ভারতীয় নৌসেনার নতুন অস্ত্র MH-60 R হেলিকপ্টারের  রক্ষণা বেক্ষণ ও অপারেটিং সিস্টেমের একাধিক দায়িত্ব সামলাবেন। MH-60 R হেলিকপ্টার শত্রু জাহাজ, সাবমেরিন ও টর্পেডো খুঁজে বের করতে অব্যর্থ। বলছে ভারতীয় নৌ সেনা।


আরও পড়ুন-  এত দিন হাত পা বাঁধা ছিল কৃষকদের, মুক্ত করল মোদী সরকার!


ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফাল ওড়ানোর জন্যও একজন মহিলা পাইলটকে নির্বাচন করা হয়েছে। যদিও তিনি আপাতত অপারেশনাল হিসেবে কাজ করবেন বলেই জানা যাচ্ছে। ভারতীয় বায়ু সেনার Golden Arrows squadron-এ তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ভাবনা কান্থ, অভনী চতুর্বেদী ও মোহনা সিং প্রথম যুদ্ধ বিমানের পাইলট ছিলেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ু সেনায় ১৮৭৫ জন মহিলা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন যুদ্ধ বিমানের পাইলট।