নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার কারণে ভোট-প্রচারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে তুলোধোনা করতেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদী দাবি করতেন, ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব এবং দুর্নীতির কারণেই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ ছুঁতে পারছে না। ইঙ্গিত দিতেন, তিনি দেশের হাল ধরলে বদলাবে পরিস্থিতি। সেটা ছিল ২০১৪ সাল। এখন এই ২০২০-তে ছবি কিন্তু একেবারেই অন্য কথা বলছে।


দিল্লির মসনদ দখলের লক্ষ্যে বছরে দু'কোটি কাজের সুযোগ তৈরির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউপিএ সরকারের শেষ দিক (২০১১-১২) থেকে মোদীর প্রথম দফার শেষ অংশের (২০১৮-১৯) মধ্যে শহরেই দ্বিগুণ হয়েছে বেকারত্বের হার, যা গ্রামে প্রায় তিন গুণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে গ্রামে প্রতি হাজার জনে কর্মহীন ছিলেন ১৭ জন, শহরে ৩৪; ২০১৮-১৯ সালে তা হয়েছে যথাক্রমে ৫০ এবং ৭৭ জন! দেশের তুলনায় সামান্য ভাল হলেও, কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে এ রাজ্যেও। শীর্ষ ব্যাঙ্ক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯-১০ সালে বাংলার গ্রাম-শহরে যেখানে প্রতি হাজার জনে যথাক্রমে ১৯ ও ৪০ জন কর্মহীন ছিলেন, এখন ওই সংখ্যা সেখানে ৩৫ ও ৪৯!
 
প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী যে দেশি-বিদেশি লগ্নি আসার কথা বলেন, দাবি করেন অর্থনীতির প্রগতির, কাজের বাজারে তার ছাপ কই? জাতীয় নমুনা সমীক্ষার তথ্য এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, বৃদ্ধির হারের মতো কাজের সুযোগ তৈরিতেও মনমোহন জমানা থেকে বহু যোজন পিছিয়ে মোদী সরকার।


কিন্তু কেন মোদী-জমানার এরকম অবস্থা?


বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর অন্যতম কারণ, নোটবন্দি আর জিএসটি চালুর ধাক্কা। করোনা ও লকডাউনের সাঁড়াশি চাপে এপ্রিল থেকে অগস্টের মধ্যে দেশে বাঁধা বেতনের চাকরি গিয়েছে দু'কোটির বেশি। অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবস্থা তথৈবচ। কাজ খুইয়েছেন অসংখ্য কর্মী। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখেছে সারা দুনিয়া।


আরও পড়ুন: ব্ল্যাকহোলের দাঁতে ঝুলছে বিশাল তারা, ছড়াচ্ছে আলো