নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি খরচ বাড়াতে না পারলে, বাড়বে না কাজের সুযোগ। আবার, খরচ বাড়লে রাজকোষ ঘাটতিও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। তার জেরে রেটিং কমলে যদি বেসরকারি লগ্নি আসা কমে যায়, সেটা আবার আর এক শঙ্কা। বলাই বাহুল্য, শুক্রবার বাজেট পেশের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে নতুন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সত্যিই যদি ৫ বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠতে হয়, তাহলে বড় আর্থিক সংস্কার ছাড়া তাঁর সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটেই কৃষক ও মধ্যবিত্তদের উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর, এবার আর জনমোহিনী বাজেট পেশের দায় নেই তাঁর। তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা মেটানোর বাধ্যবাধকতা অবশ্যই রয়েছে। আর সেই জায়গাতেই চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।  


কী চ্যালেঞ্জ?


গত অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮%, যা ৫ বছরে সবচেয়ে কম।


২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার ৬.১% যা ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি। 


চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ২ মাসে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ, অন্তর্বর্তী বাজেটে ঘাটতির ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার ৫২% ইতিমধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছে।



জুন মাসে সারা দেশে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৩৩%।


চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আসমুদ্র হিমাচলের প্রত্যাশাও।


কী প্রত্যাশা?


সাধারণ মানুষ চাইছেন করমুক্ত আয়ের উর্ধ্বসীমা বাড়ুক। করের হারে আসুক পরিবর্তন।বাড়ুক করমুক্ত সঞ্চয়ের পরিমাণও। 


শিল্পমহল চাইছে, সব ক্ষেত্রেই কর্পোরেট করের হার কমিয়ে ২৫% করা হোক এবং তুলে দেওয়া হোক ১৮.৫% ন্যূনতম বিকল্প কর। 


প্রবীণ নাগরিকরা চাইছেন, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার হোক শূন্য শতাংশ। কর-মুক্ত স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হোক কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা। সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিমে সুদের হার ৮.৬% থেকে বেড়ে হোক ৯%। এখন ৪০ হাজারের বদলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্কের সুদে টিডিএস কাটা বন্ধ হোক। 


এছাড়া কর্মরত মহিলারাও আয়করে বাড়তি ছাড় চাইছেন। অন্তর্বর্তী বাজেটে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না বলে রিবেট ঘোষণা করেন পীযূষ গোয়েল। তবে, করের হারে তিনি কোনও পরিবর্তন করেননি। অর্থাত্‍ করযোগ্য আয় ৫ লাখের বেশি হলে
প্রথম আড়াই লাখ টাকায় কোনও কর দিতে হবে না। তারপর থেকে আয়স্তর অনুযায়ী ৫, ২০ এবং ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। 


ফলে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জের জাঁতাকলে পড়েছেন নির্মলা সীতারমন। কীভাবে তিনি দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করেন, তা দেখতে উত্সুক আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।   


আরও পড়ুন- তাড়িয়ে দিন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর কৈলাসপুত্র আকাশকে নোটিস বিজেপির