নিজস্ব প্রতিবেদন : সংসদে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট (Union Budget 2020) পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দ্বিতীয় মোদী সরকারের এটাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এবার বাজেটে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে ফ্যান্টাস্টিক ফোর-এর রণনীতি কী? ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কোন কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন? বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য আয়কর ছাড়ের কী সুবিধা থাকবে? কোন কোন জিনিসের দাম বাড়ছে? কোন কোন জিনিসের দাম কমল? এবার বাজেটে সেদিকে নজর ছিল সবারই। শেষপর্যন্ত বাজেটে কী ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন? চলুন দেখে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একনজরে Union Budget 2020:


** বাজেট ভাষণ শেষ করলেন নির্মলা সীতারামন। PTI সূত্রে খবর, অসুস্থ বোধ করায় কাটছাঁট করে বাজেট ভাষণ শেষ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।


** আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ ও রাজকোষের ঘাটতি ৩.৮ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।


** ব্য়াপক ধস নামল শেয়ার বাজারে। হুড়মুড়িয়ে নামছে সূচক। সেনসেক্স পড়ল সাড়ে ৬০০ পয়েন্ট। ২০০ পয়েন্ট পতন নিফটির।


** নতুন করকাঠামোয় বছরে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।


** গৃহঋণের সুদে আর থাকছে না করছাড়ের সুবিধা।


** কিন্তু যাঁরা পুরনো কর কাঠামোয় আয়কর দেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বলবৎ থাকছে।


** নতুন আয়কর পরিকাঠামোয় ১০০টি করছাড়ের সুবিধার মধ্যে মাত্র ৩০টি সুবিধা মিলবে। তুলে নেওয়া হচ্ছে বাকি ৭০টি।



** পুরনো আয়কর পরিকাঠামোর পাশাপাশি বিকল্প এই নতুন আয়কর পরিকাঠামো কার্যকর করতে চলেছে সরকার।


** ১৫ লাখ টাকা আয়ের ঊর্ধ্বে আয়করের হার ৩০ শতাংশ।


** সাড়ে ১২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয়ে আয়কর ২৫ শতাংশ।


** ১০ লাখ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা আয়ে আয়কর ২০ শতাংশ।


** সাড়ে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা আয়ে আয়কর ১৫ শতাংশ।


** ৫ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা আয়ে আয়কর ১০ শতাংশ।


** নতুন কর পরিকাঠামোয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত।


** নতুন আয়কর কাঠামোর ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।


** নির্মলার ঘোষণার পরই পড়ছে শেয়ার বাজার।


** IDBI ব্যাঙ্কের সরকারি অংশীদারিত্বও ধাপে ধাপে কমবে।


** জীবন বিমা নিগমে এবার বেসরকারি অংশীদারিত্ব। LIC-র শেয়ার বাজারে ছাড়বে সরকার।



** ১ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বেড়ে হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।


** ব্যাঙ্কে আমানতে বিমা সুরক্ষা বাড়ছে।


** কর দেওয়ার ঝক্কি কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। করদাতাদের ভরসা নির্মলার।


** পিপিপি মডেলে ১৫০টি নতুন ট্রেন।


** পরিবহন খাতে ১.৭ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** বড় শহরগুলিতে মানুষদের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু সুনিশ্চিত করতে একাধিক ভাবনা সরকারের। ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** সংস্কৃতি মন্ত্রকের জন্য ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** দেশের ৫টি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ শহরকে আইকোনিক সাইট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে থাকবে মিউজিয়াম।


** মহিলাদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্পে ২৮,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৯০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** তফশিলি উপজাতির উন্নয়নে ৫৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** তফশিলি জাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতির উন্নয়নে ৮৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** উদ্যোগপতিরাই দেশের শক্তি। তাঁদের বিনিয়োগমুখী করতে খোলা হবে ‘ইনভেস্টমেন্ট কিলিয়ারেন্স সেল’। জমি, বিনিয়োগ পলিসি সংক্রান্ত তথ্য দিতে সহায়তা করবে ওই সেল।


** নির্মলা সীতারামনের বাজেট ভাষণের মধ্যেই বার বার বিরোধীদের হই-হট্টগোল। থামাতে হল স্পিকারকে।


** দেশের মানুষের পুষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য ৩৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** ৬ লাখের উপর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর হাতে এখন স্মার্টফোন। যার মাধ্যমে ১০ কোটির উপর পরিবারের পুষ্টির কী অবস্থা, তা রেকর্ড রাখা সম্ভব হয়েছে।



** 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। দেশজুড়ে সর্বস্তরের শিক্ষায় এখন ছেলেদের থেকে মেয়েদের নথিভুক্তকরণের হার বেশি। 



** অপটিক্যাল ফাইবার প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে ১ লাখ গ্রাম পঞ্চায়েতকে।


** দেশজুড়ে ডেটা সেন্টার পার্ক গড়ে তোলার জন্য নয়া নীতি আনবে সরকার।


** কোয়ানটম প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।


** পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি।


** ২০৩০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে ভারতে।


** ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের ১০০টি বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করে তোলা হবে।


** ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে দিল্লি-মুম্বই হাইওয়ের কাজ।


** তেজসের মতো আরও ট্রেন চালু করার ভাবনা। রেল লাইনের দুই পাশে সোলার প্যানেল বসানোর প্রস্তাব। ২৭ হাজার কিমি রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ করার প্রস্তাব।


** শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২৭ হাজার ৩০০ কোটি।


** ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষামুক্ত দেশ গড়তে শুরু করা হবে অ্যান্টি টিবি ক্যাম্পেইন (Anti-TB campaign)।


** সাধারণ মানুষের স্বার্থে দেশের সব জেলায় আরও বেশি করে খোলা হবে জন ওষুধি কেন্দ্র।


** ভারতকে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এশিয়া ও আফ্রিকার পড়ুয়াদের জন্য সূচনা 'Ind-SAT' পরীক্ষার।


** দেশে ১৫০টি নয়া ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


** বৃত্তিমূলক শিক্ষায় বরাদ্দ ৩০০ কোটি।


** অনলাইনেই এবার ডিগ্রি স্তরের সম্পূর্ণ পাঠক্রম। পাঠ দেবে দেশের ১০০টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


** শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারের নয়া শিক্ষানীতি।


** গ্রামীণ ভারতের ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে জল জীবন যোজনায় বরাদ্দ ৩.৬ লাখ কোটি টাকা।


** স্বচ্ছ ভারত মিশনে বরাদ্দ ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।


** কৃষি, নিকাশি এবং গ্রামোন্নয়ন খাতে ২.৮৩ লক্ষ কোটি  টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।


** স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ অতিরিক্ত ৬৯ হাজার কোটি টাকা।


** ১১২ জেলায় পিপিপি মডেলে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সব জেলা হাসপাতালে তৈরি করা হবে মেডিক্যাল কলেজে।



** ২০২২-২৩ সালের মধ্যে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০০ লাখ টন।


** হর্টিকালচারে রেকর্ড উৎপাদন। লক্ষ্য, এক জেলায় এক পণ্য।


** শুখা ১০০টি জেলায় বিশেষ নজর। সৌর পাম্প বসাতে সাহায্য করবে সরকার। তৈরি করা হবে আরও হিমঘর। এক্ষেত্রে সাহায্য করবে মুদ্রা ও নাবার্ড।


** কৃষকদের স্বার্থে চালু হবে উড়ান। চালু করবে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক।


** কৃষকদের স্বার্থে চালু হবে নতুন কিষাণ রেল।


** কৃষকদের উন্নয়নে ১৬ দফা যোজনা।


** পরিবহন এবং লজিস্টিক ক্ষেত্রে জিএসটি দুর্দান্ত কাজ করেছে। “ইন্সপেক্টর রাজ’ উধাও হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।


** ২০২২ সালের মধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।



** বাজেট ভাষণেও কাশ্মীর নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রথমে কাশ্মীরী ভাষায় লেখা একটি কবিতা উদ্ধৃত করেন তিনি। পরে তা হিন্দিতে অনুবাদ করে বলেন-



** ১ এপ্রিল থেকে GST-র নতুন আবেদনপত্র। আরও সরলীকরণ হচ্ছে ফর্ম।


** ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ কমেছে সাড়ে ৩.৫ শতাংশ।


** বিশ্বের ৫ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত।


** প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে এই সরকার।


** ১০ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র সীমা বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে, যার জন্য দেশ গর্বিত বলে জানান সীতারামন।


** সরকারের লক্ষ্য সবকা সাথ সবকা বিকাশ। সংখ্যালঘু, মহিলা, তপশিলি জাতি-উপজাতিদের উন্নয়ন এই বাজেটের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন নির্মলা।


** বাজেট ২০২০-২১-এর ভাবনা- আকাঙ্ক্ষী ভারত, সমাজের সব স্তরের উন্নয়ন।


** এই অর্থবর্ষে ৪০ কোটি জিএসটি রিটার্ন ফাইল হয়েছে।


** জিএসটি কাউন্সিল আরও সক্রিয় হয়েছে। গত বছর ১৬ লক্ষ নতুন করপ্রদানকারী যুক্ত হয়েছেন।


** কর ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পরিণত হতে চলেছে জিএসটি ব্যবস্থা।


** পরিকাঠামো গত উন্নয়নে জিএসটি কার্যকর ঐতিহাসিক বলে  উল্লেখ করেন সীতারামন।


** বাজেট ভাষণে পূর্বসূরী অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নির্মলার।


** শুধু রাজনৈতিক স্থায়ীত্বের জন্য নয়, অর্থনীতি ক্ষেত্রে নীতির উপর দেখেই নিরঙ্কুশ জনাদেশ এসেছে।



** নতুন দশকের প্রথম বাজেট। বাজেট পেশ শুরু করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।


** বাজেটে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।



** অর্থমন্ত্রী মায়ের বাজেট ভাষণ শুনতে সংসদে পৌঁছল মেয়ে পরাকালা ভাংময়ী।



** জানুয়ারিতে GST আদায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮২৮ কোটি।


** বাজেট শুনতে সংসদে পৌঁছলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।



** স্নিফার ডগ দিয়ে শুকিয়ে বাজেট কপির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হল।



** সংসদে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।



** সংসদে পৌঁছল বাজেটের নথি।



** বাজেট পেশ হওয়ার সময় যত এগিয়ে আসছে, শেয়ার সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নিফটি ১৫০ পয়েন্ট পতন হয়েও ফের ঊর্ধমুখী।


** সংসদে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের আগে ১০টা বেজে ১৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক।




** ঐতিহ্যাশালী লাল বহি খাতা নিয়ে অর্থ মন্ত্রকে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।


** রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংসদ ভবনের দিকে রওনা দিলেন নির্মলা সীতারামন।



** বাজেট পেশের আগে রাইসিনা হিলসে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।



আরও পড়ুন, আইসিইউ থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে বাজেটে মধ্যবিত্তের ভাগে কতখানি থাকবে?