নিউইয়র্ক: কেটে গেছে ৩০ বছর। এখনও সুবিচার পাননি ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনায় আক্রান্তরা। আরও একবার ধাক্কা খেলেন তাঁরা। একটি মার্কিন আদালত জানিয়েদিল ইউনিয়ন কার্বাইডের কেমিক্যাল প্লান্ট থেকে যে দূষণ ছড়াচ্ছে তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কোনও মানেই হয় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর্থ রাইটস ইন্টারন্যাশনল নামের একটি এনজিও দক্ষিণ নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে ভোপালের আক্রান্ত অধিবাসীদের হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের প্লান্ট থেকে থেকে বর্জ্য পদার্থ নির্গত হচ্ছে তা ভোপালের জল-জমিকে দূষিত করে চলেছে।


আর্থ রাইটস জানিয়েছে ইউনিয়ন কার্বাইডের এক কর্মী কোম্পানির নির্মানের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আদালত এই রায় দিয়েছে।  


এই এনজিও-র দাবি ইউনিয়ন কার্বাইডের বিরুদ্ধে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যার ভিত্তিতে তারা আদালতের এই ভুল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।


এই মামলায় মধ্যপ্রদেশ সরকারেও ভোপালের ওই অঞ্চল পরিষ্কার করার দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।


১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর ইউনিয়ন কার্বাইড প্লান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত ৫,০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। বাতাসে বিষের প্রভাবে এখনও সেখানে জন্ম নেয় বিকলাঙ্গ শিশু। ঘটনার পর পর তড়িঘড়ি করে ইউনিয়ন কার্বাইড তাদের প্লান্টকে পরিতক্ত্য করে পাততাড়ি গোটায়। সেই প্লান্টের বিষাক্ত বর্জ্য সেই সময় থেকে মিশেছে ভোপালের জলে। ইউনিয়ন কার্বাইডের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে একাধিক মামলা চললেও প্রত্যেক বার ছাড় পেয়েছে তারা।  


আর্থ রাইটস-এর দাবি বিষাক্ত বর্জ্যের উৎপাদন ও নিষ্ক্রমণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ইউনিয়ন কার্বাইডের। একজন ম্যানেজার সবসময় নিযুক্ত ছিলেন পরিতক্ত্য প্লান্টের দেখভাল করার জন্য। এনজিও-টির দাবি তার উপস্থিতি কীভাবে এই তথ্য অজানা রয়ে যায় কোম্পানির মালিকদের কাছে?


যদিও বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রমণের সঙ্গে ইউনিয়ন কার্বাইডের সরাসরি সংযোগের কোনও প্রমাণই নাকি নেই। তাঁর মতে ওই ম্যানেজার শুধুমাত্র সহায়ক রূপে কাজ করেন।