নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীকে ধাক্কা দিতে আজ কোমর বেঁধে নামছে বিরোধীরা। রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের মঞ্চ থেকেই মোদী বিরোধী হাওয়া জোরাল করতে চাইছে তারা। ২৪৪ আসনের রাজ্যসভায় জিততে দরকার ১২৩ জনের সমর্থন। বিজেপির দাবি, ১২৬ জন সাংসদের সমর্থন তাদের সঙ্গে রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেডিইউ-র প্রথমবারের সাংসদ হরিবংশের সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের তিন বারের সাংসদ হরিপ্রসাদের। আজ বেলা ১১টায় নির্বাচন হবে। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ১ জুলাই মেয়াদ শেষ হয় পিজে ক্যুরিয়েনের।    


কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী শিবিরে রয়েছে সপা, বসপা, এনসিপি, টিডিপি, তৃণমূল ও ডিএমকে। টিডিপি নেতা ওয়াই এস চৌধুরী ঘোষণা করে দিয়েছেন, কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন দিচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে এনডিএ শিবিরে রয়েছে শিবসেনা, অকালি, জেডিইউ। এছাড়া টিআরএস ও এআইডিএমকে-র মতো দলও তাদের সমর্থন করতে পারে বলে খবর। 


বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার বিজেডি সুপ্রিমোকে ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নবীন পট্টনায়েক ও তাঁর প্রয়াত বাবা বিজু পট্টনায়েককে সম্মান করেন তিনি। সূত্রের খবর, চলতি মাসে এনিয়ে পট্টনায়েকের কাছে দ্বিতীয়বার ফোন গিয়েছে মোদীর। বিজেডি-র ৯ সাংসদের সমর্থন পেতে চলেছে এনডিএ। উল্লেখ্য, অনাস্থাপ্রস্তাবেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছিলেন বিজেডি সাংসদরা। তখনও মোদীর সঙ্গে কথার পরই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পট্টনায়েক। হরিবংশের জন্য সমর্থন চেয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে ফোন করেছেন নীতীশ কুমার। 


রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু বিজেপির। লোকসভার মতো শক্তি তাদের নেই। ফলে রাজ্যসভায় শরিকদের সঙ্গ না পেলে হার অবশ্যম্ভাবী। বিরোধী শিবিরের দাবি, এনডিএ সাংসদদের কয়েকজনের সমর্থন তারা পেতে পারে। অনাস্থা ভোটের আগে কক্ষত্যাগ করেছিল শিবসেনা। ইদানীং দুই শরিকের মধ্যে বিবাদ চলছে। ইতিমধ্যেই লোকসভায় আলাদা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। ওদিকে আবার পঞ্জাবের শরিক শিরোমনি অকালি দলও প্রার্থী নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছে। তাদের সাংসদ নরেশ গুজরালের নাম প্রস্তাব করেছিল অকালি। তবে এটাও অনস্বীকার্য, অকালির পক্ষে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়া কোনওমতেই সম্ভব নয়।