নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত পোহালেই ছত্তীসগঢ় নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। এ দিন মোট ১৮টি কেন্দ্রে ভোট হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রই মাও-অধ্যুষিত স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ৬৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। তবুও, আজ সকালে কাঙ্কের জেলায় পরপর ৭টি বিস্ফোরণ ঘটালো মাওবাদীরা। বিজপুরে পুলিসের সঙ্গে গুলি লড়াই চলছে মাওবাদীদের। নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। স্বাভাবিকভাবেই আগামিকাল ভোটগ্রহণের সময় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’, তোলপাড়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে তিন রাজ্য


আশঙ্কা-জল্পনার মাঝেই প্রকাশ্যে এল মাওবাদীদের হদিশের একটি ছবি। অবুজাদের গভীর অরণ্য কৌশলনরে ড্রোন ক্যামেরায় খোঁজ মেলে মাওবাদীদের বিচরণ। মনে করা হচ্ছে, ছত্তীসগঢ়ে এখানেই মাওবাদীদের ঘাঁটি রয়েছে। তবে, এই অঞ্চল যে নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে নয়, তা স্বীকার করে নিচ্ছে খোদ প্রশাসন।


আরও পড়ুন- নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টার আগেই মাও-বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ছত্তীসগঢ়, পাল্টা জবাব দিচ্ছে পুলিস


প্রশ্ন উঠছে, এই ছবি দেখে অভিযান চালানো কি সম্ভব নিরাপত্তারক্ষীদের?


নিরাপত্তাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ছবি দেখে অভিযান চালানো কঠিন। কারণ, যে অঞ্চলে মাওবাদীদের হদিশ মিলেছে, সেখানে পৌঁছনো সময়সাপেক্ষ। ডেরায় পৌঁছনোর আগেই পালিয়ে যেতে পারে তারা। নিরাপত্তাবাহিনীর আরও আশঙ্কা, ওই এলাকার চারিদিক লাইন্ড মাইন পোঁতা থাকতে পারে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা ও অন্যান্য রাজ্য থেকে মাওবাদীরা জোড়ো হয়েছে ছত্তীসগঢ়ে। সাধারণ মানুষ যাতে ভোট না দেয়, তার জন্য মাওবাদীরা বড়সড় নাশকতার ছক কষতে পারে এমনই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা।