নগদ সঙ্কটে গত ৭০ বছরে অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশ, বিস্ফোরক নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান
ফিকি-র প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল বলছেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির স্লথের কারণ অর্থনৈতিক সংস্থাগুলি। সরকার সে সমস্যাও চিহ্নিত করেছে। নগদ-শূন্যে দিকে যেতে চলেছে দেশের অর্থনীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন করে আর্থিক সংস্কারের পথে না হাঁটলে, সামনে সমূহ বিপদ এ কথা কার্যত মেনে নিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। মন্দা বাজারের মূল কারণ নগদ সঙ্কট। যা গত ৭০ বছরে এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেন দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজীব কুমার বলেছেন, নগদের অভাবে দেশের সব আর্থিক সংস্থাগুলির অবস্থা টলমল। এমন পরিস্থিতি গত ৭০ বছরে তৈরি হয়নি।
ফিকি-র প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল বলছেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির স্লথের কারণ অর্থনৈতিক সংস্থাগুলি। সরকার সে সমস্যাও চিহ্নিত করেছে। নগদ-শূন্যে দিকে যেতে চলেছে দেশের অর্থনীতি। এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিত বলে জানান রাজীব কুমার। নগদ সঙ্কট নিয়ে বলতে গিয়ে রাজীব ব্যাখ্যা করেন, “কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। শুধু সরকারের ক্ষেত্রেই নয় বেসরকারি সংস্থাগুলিতেও একই সমস্যা। ঋণ দিতে ভরসা পারছে না তারা।” কোন পথে সমাধান? রাজীব কুমার স্পষ্ট করেন, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি নিজেদের তাগিদেই এগিয়ে আসতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও।
কিন্তু রাজকোষ ভাঙিয়ে আদৌ মিটবে নগদ সঙ্কট? আশঙ্কার মেঘ নেমে এসেছে অটোমোবাইল সেক্টরে। বিক্রি কমেছে গাড়ির। উত্পাদন নেই বললেই চলে। কয়েক লক্ষ কর্মীর ঘাড়ে চাকরি খোয়ানোর খাঁড়া। এ সব নিয়ে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অটো সেক্টরে। তার মাঝে গতকাল দেশের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা জানিয়ে দেন, ত্রাণের আশা ছেড়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করুক বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি। ধুঁকতে থাকা সংস্থাগুলির আশায় জল ঢেলে দেন তিনি। এর পরে গতকাল বড়সড় পতন দেখা যায় শেয়ার বাজারে। গত ছয় মাসে যা রেকর্ড বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিকে প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে। বিশ্ব বাজারের মন্দা অর্থনীতির প্রভাব তো রয়েছেই, কিন্তু ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে পরামর্শ দেন রঘুরাম রাজন। তাঁর কথায় ত্রাণ প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান নয়। এতে রাজকোষের ঘাটতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।