নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সামনে এল চাঞ্চল্যকর ভিডিও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেমন ছিলেন জয়ললিতা? মৃত্যুর এক বছর পর সেই ভিডিও সামনে আসতেই সরগরম তামিলনাড়ুর রাজ্য-রাজনীতি।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আশ্রমের মধ্যে আটকে রেখে ২ সাধ্বীকে ১০ দিন ধরে গণধর্ষণ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর


ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে বসে রয়েছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তাঁর বা হাতে একটি জুসের গ্লাস। সম্ভবত, টিভি দেখছিলেন তিনি। জয়ললিতার এই ভিডিও প্রকাশ করেছেন টিটিভি দিনাকরণের সমর্থক পি ভেটরিভেল।


মৃত্যুর আগে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালেই টানা ৭৫ দিন ভর্তি ছিলেন জয়ললিতা। ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর জয়ললিতা মারা যান। কিন্তু তাঁর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধতে থাকে নানান রহস্য। জয়ললিতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্ধকারেই রেখেছিল আম জনতাকে, এমনও অভিযোগ করেন অনেকে। বিশিষ্ট কয়েকজন ছাড়া কেউ জানতেই পারেননি কেমন আছেন তাঁদের আম্মা।


আরও পড়ুন: দাউদের ডান হাত ছোটা শাকিল মৃত! চাঞ্চল্য ছড়াল নতুন অডিও টেপ


জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলা আর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউই দেখা করতে পারেনি অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রীর (তৎকালীন) সঙ্গে। যদিও চিকিৎসকদের দাবি ছিল, শশীকলা এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রতিদিনই জয়ললিতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য জানানো হত। আম্মার চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্যই জানানো হত হাসপাতালের চেয়ারম্যানকেও।



চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেমন ছিলেন আম্মা? জয়ললিতার মৃত্যুর দু'মাস পর সাংবাদিক বৈঠক করে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিল অ্যাপোলো। 'নেত্রী ভাল করে কথা বলতে পারতেন না। মুখ নাড়িয়ে হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিতেন সব', এমনই জানানো হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেপ্টেম্বরে (২০১৬) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসার জন্য লন্ডন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল পার্মোলজিস্ট (ফুসফুস বিশেষজ্ঞ) রিচার্ডকেও। এরপর চিকিৎসায় সারাও দেন জয়ললিতা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।


তবে চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। ২১ ডিসেম্বর জয়ললিতার বিধানসভা কেন্দ্র আরকে নগরের উপ-নির্বাচন। অনেকের মতে, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই টিটিভি দিনাকরণের সমর্থক এই ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন। এতদিন ছবিটি নিয়ে কেন চুপ ছিল টিটিভি দিনাকরণ? প্রশ্ন সব মহলেই। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশনও।